বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার বিকেল ৩টে নাগাদ বিহারে প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। নির্বাচন কমিশনের বিতর্কিত Special Intensive Revision প্রক্রিয়ার অধীনে তৈরি হয়েছে এই তালিকা। সূত্র বলছে, ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ৯০,৮১৭টি বুথের জন্য পৃথক তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকাগুলি আজ সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারপর তা প্রকাশ করা হবে সাধারণ মানুষের জন্য।
‘প্রমাণ আছে, নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে জড়িত’, বললেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)
তালিকা প্রকাশের আগেই বিতর্ক দানা বাঁধছে দেশজুড়ে, বিশেষ করে সংসদে। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, SIR প্রক্রিয়া পুরোপুরি অস্বচ্ছ। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন যে, ‘আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে জড়িত। দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে কমিশন।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কমিশনের কেউ রেহাই পাবে না। আপনারা অবসর নিলেও, আমরা খুঁজে বার করব।’ তাঁর মতে, গণহারে ভোটার বাদ দেওয়া হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের উপর আক্রমণের সামিল।
৬৪ লক্ষ নাম বাদ পড়তে পারে, কেন এই আতঙ্ক?
নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বিহারের মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ৭.২৩ কোটি মানুষই নাম অন্তর্ভুক্তির ফর্ম জমা দিয়েছেন। তবে প্রায় ৬৪ লক্ষ ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা। কমিশনের ব্যাখ্যা, এই তালিকায় মৃত ব্যক্তি, অন্যত্র চলে যাওয়া নাগরিক, একাধিক স্থানে নাম থাকা বা খুঁজে না পাওয়া ভোটারদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে বিরোধীদের প্রশ্ন, কীভাবে এত বিপুল সংখ্যক ভোটার একসঙ্গে তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে?
২০০৩-এর পর ফের নিবিড় সংশোধন
২০০৩ সালের পর এই প্রথম বিহারে ভোটার তালিকার এমন নিবিড় সংশোধন হচ্ছে। কমিশনের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যের মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ৭.২৩ কোটির আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তবে বাদ পড়তে পারে এমন নামের সংখ্যা দেখে রাজ্য জুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি।
আরও পড়ুনঃ পার্ক সার্কাস স্টেশন কি সত্যিই দখলে? শমীকের প্রশ্নের জবাবে কি বললেন রেলমন্ত্রী?
বিরোধীদের দাবি, এই তালিকা সংশোধন পুরোপুরি অস্বচ্ছ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভোটারদের গণহারে বাদ দেওয়ার মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলাই আসল লক্ষ্য। এখন দেখার, তালিকা প্রকাশের পর বিরোধীরা কী রণকৌশল নেয়।