বাংলাহান্ট ডেস্ক : সালটা ২০১১। তৎকালীন ক্ষমতাশীল বামফ্রন্ট সরকারকে হারাতে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সাথে জোট করে প্রদেশ কংগ্রেস। কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দল মিলে হারাতে সক্ষম হয় ৩৪ বছরের বাম সরকারকে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই জোটে ভাঙন ধরে। তৃণমূলের হাত ছেড়ে দেয় কংগ্রেস। পরবর্তীকালে বামেদের সাথে হাত মিলিয়ে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে লড়তে দেখা যায় তাদের।
এবার ফের একবার তৃণমূলের সাথে জোট করার প্রসঙ্গ তুললেন রাহুল গান্ধী। তৃণমূলের সাথে যদি কংগ্রেস জোট করে ভোটে লড়তে চায় তাহলে কর্মী ও সমর্থকদের মনোভাব কি হবে সেই বিষয়টি বুঝে নিতে চাইছেন রাহুল। কংগ্রেসের “ভারত জোড়ো” যাত্রা চলাকালীন বাংলার তরুণ কংগ্রেস নেত্রী পূজা পরাজিতা রায়চৌধুরীর কাছে সরাসরি এই প্রশ্ন রাখেন রাহুল গান্ধী। রাহুল পূজার কাছে জানতে চেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস যদি বামেদের থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূলের সাথে জোট করে তাহলে কর্মী সমর্থকদের কি মনোভাব হতে পারে?
জানা যাচ্ছে, পূজা রাহুলের এই বক্তব্যের সম্পূর্ণভাবে বিরোধিতা করেন। পাশাপাশি পূজা বামেদের সাথে লড়াই করার পক্ষেও রাজি নন। তার বক্তব্য কংগ্রেস বিকল্পভাবে একা লড়ে নিজেদের জমি শক্ত করুক। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাহুলের এই ধরনের বক্তব্যকে রীতিমতো গুরুত্ব সহকারে দেখছে রাজনৈতিক মহল। একটা সময় পর্যন্ত রাহুল তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোটের বিরোধিতা করে এসেছেন। কিন্তু সম্প্রতি রাহুলের এই মনোভাব জানতে পেরে কংগ্রেস নেতাদের মনে দ্বিধা সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু বাংলার নেত্রী পূজা কিভাবে যুক্ত হলেন রাহুলের সাথে? মাসখানেক আগে শুরু হওয়া “ভারত জোড়ো” কর্মসূচিত সারা দেশ থেকে বাছাই করা ১১৭ জন কংগ্রেস কর্মীকে শামিল করা হয়। আগামী পাঁচ মাস পর্যন্ত এনারা রাহুলের সহকর্মী হিসেবে থাকবেন এই কর্মসূচিতে। এই পদ যাত্রায় বাংলা থেকে ডাক পেয়েছেন দুজন। একজন তরুণ সেবাদল কর্মী কিরণ ছেত্রী ও অপরজন সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের পদাধিকারী পূজা।