বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লাদাখ (ladakh) ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে রোজই প্রায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নিশানা করছে কংগ্রেস। শনিবারও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছেন, চিনা বাহিনীর সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাদাখে আত্মসমর্পণ করেছেন। লাদাখে চিনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন মোদী। রাহুল গান্ধীর এহেন অভিযোগের মধ্যে লাদাখ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করছে গোটা কংগ্রেস ব্রিগেড। এরকম এক অবস্থায় কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ালেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)।
Spot the differences between May 22 and June 22, 2020 on the INDIA-CHINA border. pic.twitter.com/nLZzc3fjuQ
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) June 27, 2020
লাদাখ ইস্যুতে জোটসঙ্গী কংগ্রেসের ঠিক উল্টোপথে হাঁটলেন এনসিপি শরদ পওয়ার। লাদাখের গালওয়ানে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার ঢুকে পড়া নিয়ে শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা কেন্দ্রীয় সরকারকেই তোপ দেগে চলেছে কংগ্রেস।
সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা লাদাখে চিনা আগ্রাসনকে কেন্দ্রের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করে আসছেন। এমনকী এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করছেন রাহুল গান্ধী।
এনসিপি প্রধান বলেন, “গালওয়ান উপত্যকায় যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য এক্ষুণি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা যায় না। এও বলা যায় না টহলরত সেনাদের উপর অতর্কিতে হামলা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যর্থতা।”
গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পরে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় সেনার। অনেকের মতে, ৬৭ সালের পর চিনা সেনার এমন উগ্র, আগ্রাসী রূপ আর দেখা যায়নি।
শরদ পাওয়ার একসময়ে কেন্দ্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও ছিলেন। তিনি বলেন, “যোগাযোগের জন্য ওখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী রাস্তা বানাচ্ছে। কী এমন হতে পারে যে টহলদারি চালানোর সময় ওরা ওই ভাবে হামলা করল? ওরা যে কোনও সময়েই সীমালঙ্ঘন করে ঢুকে পড়তে পারে। তার জন্য দিল্লিতে বসে থাকা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যর্থতা বলা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “ওখানে সেসময় পেট্রলিং চলছিল। ওখানে সংঘাত হয়েছে। তার মানে আমাদের সেনাবাহিনী সতর্ক ছিল। তা না থাকলে সংঘাত হতো না। ওরা কখন সীমানা পেরিয়ে এল বা গেল কিছুই টের পাওয়া যেত না।” ১৯৬২ সালে চিন-ভারত লড়াইয়ে আমাদের দেশের ৪৫,০০০ বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করে নিয়েছে চিন।
এদিকে, রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি কেন্দ্রকে নিশান করেছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলও। শনিবার তিনি বলেন, প্রধনমন্ত্রী খোলসা করে বলুন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কী হয়েছে। চিন যেভাবে ভারতের সীমানায় ঢুকেছে তার প্রতিবাদ প্রকাশ্যে করুন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে বলতে হবে কেউ যদি ভারতের সীমানা দকল করে তাহলে সেখান থেকে তাকে তাড়াব। এরকম যদি উনি বলতে পারেন তাহলে গোটা দেশ-সহ বিরোধীরা ওঁর পাশে দাঁড়াবে।