শুধুই টাকা আর টাকা! এবার শিক্ষা দফতরের আধিকারিকের বাড়িতে নোটের পাহাড়, তোলপাড় রাজ্যে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চারিদিকে যেন শুধুই টাকার ছড়াছড়ি! এবার ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকরা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পেলেন বিপুল পরিমাণ টাকার পাহাড়। টাকার পরিমাণ দেখে চোখে রীতিমতো ধাঁধা লেগে যাওয়ার মত অবস্থা আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই ওই বিপুল অঙ্কের টাকা বাজেয়াপ্ত (Raid) করা হয়েছে।

কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বাজেয়াপ্ত (Raid) শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের বাড়িতে

বাজেয়াপ্ত করা টাকার পরিমাণ ঠিক কত তা গোনার জন্য ইতিমধ্যেই মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। উদ্ধার (Raid) হওয়া টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি হতে পারে বলেই মনে করছেন ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা। ভিজিল্যান্স দফতর সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল শিক্ষা আধিকারিক (ডিইও) রজনীকান্ত প্রবীণের বিরুদ্ধে।

Vigilance raid at deo residence and huge cash found

চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা (Money) আদায় করে আত্মসাৎ করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এবার সেই দুর্নীতির (Scam) তদন্ত করতেই সকালে অভিযুক্ত রজনীকান্তের একাধিক বাড়ি এবং আত্মীয়দের বাড়িতে অতর্কিতে অভিযান চালায় ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা। আর তারপরের দৃশ্য দেখে তো অবাক আধিকারিকরা।

আরোও পড়ুন : বিরাট সাফল্য ভারতের! ২৬/১১ হামলায় অভিযুক্ত পাকিস্তানের জঙ্গিনেতাকে দিল্লির হাতে তুলে দিল আমেরিকা

ভাড়া বাড়িতে থাকা দুটি খাটের নিচে থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। টাকা গোনার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে মেশিন। এখনো পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা মিলেছে বলে খবর। টাকার পরিমান আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ ভিজিল্যান্স শাখার অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ কুমার দারাদ জানান, অভিযুক্ত রজনীকান্ত প্রবীণ ২০০৫ সালে শিক্ষা দফতরে যোগ দেন।

আরোও পড়ুন : দুই সিরিয়ালের দুর্দান্ত ভিলেন, বাস্তবে দুই বোন! অভিনেত্রীদের আসল পরিচয় জানেন?

ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগ উঠেছে গত ১৯ থেকে ২০ বছর ধরে। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, ঘটনাটি কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নয়, বিহারের। বিহারের (Bihar) বিশেষ ভিজিল্যান্স শাখার অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ কুমার দারাদের নেতৃত্বে এই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হল বেতিয়ার সারিসা রোডে রজনীকান্তের ভাড়া বাড়িতে।

Vigilance raid at deo residence and huge cash found

সূত্র মারফত জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষা আধিকারিকের স্ত্রী সুষমা কুমারী একজন চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষিকা। স্বামীর হাত ধরে পরিচালক পদে রয়েছেন দ্বারভাঙ্গায় ওপেন মাইন্ড বিড়লা স্কুলে। অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা ওই বেসরকারি স্কুলে রজনীকান্ত বিনিয়োগ করেছেন বলেই মনে করছেন বিহারের ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর