ব্রিটিশ শাসিত বাংলায় সন্ন্যাসীদের হাতে প্রতিষ্ঠিত, ৫০০ বছরের রায়গঞ্জের ‘ঘাটকালী’ পুজো আজও আবেগ উত্তরবঙ্গের

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাত পোহালেই আগমন হবে তাঁর। আলোর উৎসবে সমগ্র দেশ মেতে উঠবে দীপাবলি আর কালীপুজোর (Kalipujo 2025) আনন্দে। বাংলার ইতিহাসে কালীপুজোর কাহিনি রয়েছে প্রচুর। আগেকার দিনে বাংলার বুকে দাপিয়ে বেড়ানো অনেক ডাকাতরা মা কালীর আরাধনা করতেন। তেমন বহু অজানা রোমহর্ষক কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে বাংলায়। শতাব্দী প্রাচীন কালীপুজোর (Kalipujo 2025) এই কাহিনিগুলির মধ্যে অন্যতম রায়গঞ্জের ‘ঘাটকালী’ পুজো।

রায়গঞ্জে আদি বন্দরে শুরু হয় কালীপুজো (Kalipujo 2025)

এই পুজো অবশ্য ডাকাতরা নয়, শুরু করেছিলেন তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার সন্ন্যাসীরা। ব্রিটিশ বিদায় করতে গোপন আস্তানা তৈরি করেছিলেন তাঁরা। রায়গঞ্জের আদি বন্দরের এই ‘শ্রী শ্রী করুণাময়ী কালীমাতা’র (Kalipujo 2025) পুজো শুরু হয়েছিল এক নাগা সন্ন্যাসীর হাত ধরে। কুলিক নদীর পাড়ে ঘাটকালীর পুজো সেরে এখানকার মাটির বেদিকে মা কালী রূপে পুজো করতেন বণিকরা। আরাধনার পরেই তাঁরা পাড়ি দিতেন বাণিজ্যের উদ্দেশে।

Raigunge port 500 years old ghat kalipujo 2025

বংশপরম্পরায় হত কালীপুজো: প্রায় ৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। বন্দরে মা কালীর মন্দির তৈরি হয় জমিদার রঘুনন্দ গিরি গোঁসাইয়ের তত্ত্বাবধানে। জানা যায়, এই মন্দিরের প্রথম পুরোহিত ছিলেন তারাপীঠের তন্ত্রসাধক জানকীনাথ চট্টোপাধ্যায়। ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটার পর মদনমোহন চট্টোপাধ্যায় এবং তারপর তাঁর পুত্র পিন্টুবাবু এখানে পুজোর (Kalipujo 2025) দায়িত্ব পান। তাঁর ভাই মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ও বহুদিন কাজ করেছেন কালী মায়ের এই মন্দিরে। তবে এখন তিন পুরুষের প্রয়াণের পর মন্দিরটি আপাতত একরকম অভিভাবকহীন হয়েই রয়েছে। তবে স্থানীয় কয়েকজন যুবক পুজোর (Kalipujo 2025) আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছেন।

আরও পড়ুন : হাতে সময় কম? মাত্র ১০ মিনিটে রাঁধুন চিংড়ির জলটোবা, মুখে লেগে থাকবে স্বাদ

এবছর কারা করবেন পুজো: এ বছর আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে হবে ঘাটকালীর পুজো। তবে তান্ত্রিক মতে ছাগবলি হবে না বলেই জানা যাচ্ছে। জমিদার গিরি গোঁসাইয়ের ষষ্ঠ প্রজন্মের উত্তরাধিকারী কমলেশ গোস্বামী জানান, মা কালীর পাঁচ বোনের মধ্যে ঘাটকালী, বুড়িকালী এবং আদি করুণাময়ী কালীর পুজো (Kalipujo 2025) হয় রায়গঞ্জের এই বন্দরে। শিবমন্দির, রামসীতা মন্দিরও রয়েছে এখানে।

আরও পড়ুন : ধর্মের দোহাই দিয়ে বলিউডকে বিদায়, মাত্র ২৪ বছরেই নিকাহ সেরে চমকে দিলেন জায়রা

পুজোর উদ্যোগ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এত বছরের পুরনো মন্দির হওয়া সত্ত্বেও কোনও ট্রাস্টি তৈরি হয়নি। এখন পুজোটা পারিবারিক থেকে বারোয়ারি হয়ে গিয়েছে। এবছরও অবশ্য পুজোর দিন ঐতিহ্য মেনে বীরভূম থেকেই আসবেন পুরোহিত।