বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাথায় টুপি পরবে কেন? মসজিদ, মাজারে যাবে কেন? রাজস্থান ভ্রমণের সময় থেকেই এমনতরো প্রশ্নের মুখে পড়ে জেরবার রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। স্ত্রী, সন্তান, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে রাজস্থানের আজমের শরিফ দরগায় গিয়েছিলেন তিনি। মাথায় টুপি পরে ছবি দিতেই হুলুস্থূল কাণ্ড সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছাড় পায়নি ছোট্ট ইউভানও।
সেই বিতর্কের পুনরাবৃত্তি হল মঙ্গলবার। এদিন ছিল খুশির ইদ। মসজিদে মসজিদে চলেছে নমাজ পড়া, কোলাকুলির ধুম। ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজও সাদা পাজামা পাঞ্জাবি আ্য মাথায় টুপি পরে গিয়েছিলেন টিটাগড়ের এক মসজিদে। মাজারে মাথা ঠেকিয়েছেন, কোলাকুলি করে ইদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন।
সেসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই ধেয়ে এসেছে নেটনাগরিকদের একাংশ। কাল যে ইদের পাশাপাশি অক্ষয় তৃতীয়াও ছিল, সেটা কী ভুলে গিয়েছিলেন রাজ? কই শুভেচ্ছা জানাননি তো? একজন লিখলেন, ‘এতদিন আপনাকে ব্রাহ্মণ বলে জানতাম’।
কারোর কটাক্ষ, এটা যে পশ্চিমবঙ্গের ছবি দেখে মনেই হচ্ছে না। এক টুকরো পাকিস্তান মনে হচ্ছে। কয়েকজন নিজের ‘ধর্ম বিসর্জন’ দেওয়ার জন্য রাজকে বয়কটের ডাক জানালেন। সব মিলিয়ে নেটপাড়া তোলপাড়। এদিকে যাকে নিয়ে এত হাঙ্গামা তিনি কী বলছেন?
জি ২৪ ঘন্টাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজের স্পষ্ট জবাব, তিনি কাউকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নন। তিনি এসব কমেন্ট দেখেন না। একজনের মারফত জানতে পারলেন। তিনি কী পরবেন, কী করবেন তার কৈফিয়ত তিনি কাউকে দেবেন না। গুরুদ্বারায় গেলে যেমন রুমাল দিয়ে মাথা ঢাকেন, তেমনি মসজিদে গেলে মাথায় টুপি পরেন। গণতান্ত্রিক দেশে তিনি পরবেন না পরবেন তার অধিকার আছে বলে মন্তব্য রাজের।
এখানেই না থেমে বিধায়ক আরো বলেন, “এর পরেও মসজিদে যাব, টুপি পরব। আমার কাছে মনুষ্যত্বই পরম ধর্ম। কার কী ধর্ম হবে সেটা তো কারোর হাতে থাকে না। জন্মের আগেই যদি জানিয়ে দেওয়া হয় কোন ধর্ম হবে, রাজি হলে তারপরে জন্মাবে। সেটা যখন হয় না তখন কারোর জ্ঞানও শুনব না। যারা কটুক্তি করছেন সেটা তাদের রুচিবোধের ব্যাপার।”