বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে দুর্গাপুজো ঘিরে ফের জল্পনা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই সাসপেন্ডেড নেতা-নেত্রী রাজন্যা হালদার ও প্রান্তিক চক্রবর্তী-কে (Rajanya and Prantik) দেখা গেল বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজোয়। স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির মহলে প্রশ্ন উঠেছে যে, এই উপস্থিতির পিছনে কোনও রাজনৈতিক বার্তা লুকিয়ে রয়েছে কিনা?
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পূজোয় রাজন্যা ও প্রান্তিক | Rajanya and Prantik at Santosh Mitra Square
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো নিয়ে এমনিতেই সজল ঘোষের সঙ্গে প্রশাসনের সম্পর্ক তলানিতে এসে থেকেছে। সম্প্রতি সজল ঘোষ মন্তব্য করেছেন যে, ‘খুঁটি পূজার আগে থেকেই এই পুজোর ষষ্ঠী পুজো করছে প্রশাসন।’ পুলিশের পাঠানো নোটিশ নিয়ে প্রায় রোজই পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে এবার রাজন্যা ও প্রান্তিকের (Rajanya and Prantik) হাজিরা নতুন মাত্রা যোগ করেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয়।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় প্রান্তিক ও রাজন্যার উপস্থিতিতে নানান প্রশ্ন উঠতেই সজল ঘোষ বলেন, “সব কিছুতে রাজনীতি খোঁজার কী আছে? এখানে রাজনীতির কী আছে? ও (রাজন্যা) আমার বোনের মতো। আমরা টিভিতে বিতর্কে লড়েছি, আবার ব্যক্তিগত সম্পর্কও আছে। সেটা থাকবে। আরও অনেকে আসেন। রাজন্যা আগেও আসতেন।” সজল ঘোষ সেদিন আরো বলেন যে, “ওকে (রাজন্যা) আমি আর তৃণমূল ধরছি না। ও সত্যিকে সত্যি বলে। দেরিতে হলেও বলেছে।” এদিন দেখা যায় সজল ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রান্তিক বারবার মাথা নেড়ে সমর্থন করেন সজলকে।
রাজন্যা-প্রান্তিকের প্রতিক্রিয়া
পুজো মণ্ডপে এদিন সজলকে দাদা বলে সম্বোধন করে রাজন্যা বলেন, “অপারেশন সিঁদুর আবেগের বিষয়। এখানে আগেও এসেছি।” অন্যদিকে প্রান্তিকের মন্তব্য, “এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ৮০ শতাংশ পুজো প্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাট আউট রয়েছে। এখানে নরেন্দ্র মোদীর কাট আউট থাকলে দোষের কী? এখানে যাঁরা আসেন, তাঁরা সবাই কি বিজেপি?”
আরও পড়ুনঃ হঠাৎ বাড়তি বোঝা থেকে রেহাই, কলকাতায় সার্কল রেটে আংশিক ছাড় দিল রাজ্য সরকার, খুশি গৃহক্রেতারা
প্রসঙ্গত প্রান্তিক ও রাজন্যার (Rajanya and Prantik) এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, তাঁদের উপস্থিতি ব্যক্তিগত আবেগের জায়গা থেকে হলেও রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যা সহজে থামার নয় বলে মনে করছে রাজনীতি মহল। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় রাজন্যা ও প্রান্তিকের এই উপস্থিতি নিয়ে রাজনীতি মহল যা মনে করছে আগামীদিনে সেটাই সত্যি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।