বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজস্থান (Rajasthan) থেকে এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। রাজ্যের বাঁশবারা জেলা খমেরা থানা অন্তর্গত এক হাসপাতালে নগ্ন অবস্থায় এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় আইপিসি ৩০২ (হত্যা), ৩৬৬ (অপহরণ) আর ৩৭২ (নাবালিকা শিশুদের পতিতাবৃত্তির জন্য বিক্রি করা) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পরিবার বারবার আবেদন করার পরেও এখনো মৃতার পোস্টমর্টেম করা হয়নি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে পালানর আগে অভিযুক্তরা নির্যাতিতাকে হাসপাতালের সামনে ফেলে দিয়ে যায়।
SHOCKER from Banswara, Rajasthan: Girl found naked & dead inside a hospital. Family alleges she was raped & poisoned. A case has now been registered. Local Congress MLA calls it a 'love affair that went wrong'.
Arvind with details. pic.twitter.com/4BlvWvBUkt
— TIMES NOW (@TimesNow) October 2, 2020
পরিজনেরা অভিযোগ করে বলেন যে, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করার পর বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা বলা হয়েছে যে, পুলিশ এই ঘটনায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করতে চাইছে না। ঘটনা সামনে আসার পর কংগ্রেসের বিধায়ক হরেন্দ্র নিনামা যুবতীর উপর হওয়া অত্যাচারকে তুচ্ছ ঘটনা বলেন। তিনি এও বলেন যে, এটি প্রেম ঘটিত মামলা।
এর আগে, রাজস্থানের বারানে (Baran) দুই নিরীহ নাবালিকার সাথে গণধর্ষণের মামলা সামনে আসে। ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশ এই মামলা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়। ওই নাবালিকা বোনদের কোটা, জয়পুর আর আজমের নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তরা তিনদিন গণধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, নাবালিকাদের মুখ খুললে প্রাণে মারারও হুমকি দেয় ধর্ষকেরা।
অভিযোগ, প্রথমে ওই দুই নাবালিকা বোনেদের অপহরণ করা হয়, এরপর তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনদিন তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়। শোনা যায় যে, ধর্ষকেরা নাবালিকাদের কোটা, জয়পুর আর আজমের নিয়ে একাধিকবার গণধর্ষণ করে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নাবালিকাদের বাবা পুলিশকে এই বিষয়ে জানান। পুলিশ নাবালিকাদের আর এক অভিযুক্তকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। নাবালিকাদের বাবার পুলিশের কাছে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। এরপর যখন নাবালিকরা পুলিশকে ঘটনার বিবরণ দিতে যায়, তখন অভিযুক্ত তাঁদের প্রাণে মারার হুমকি দেয়।
এও খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, ধৃত ধর্ষককে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। অভিযুক্তরা নাবালিকাদের হুমকি দিয়ে বলেছে যে, পুলিশ আর পরিবারকে কিছু জানালে সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। বারানের পুলিশ দাবি করে যে, দুই নাবালিকা নিজের ১৬৪ বয়ানে স্পষ্ট করে বলেছে যে, তাঁদের ধর্ষণ করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে যে, দুই নাবালিকার মেডিকেল পরীক্ষা করানোর পর ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যদিও, এই ঘটনা সামনে আসার পর এসপি জানিয়েছেন যে, যদি নাবালিকাদের ভয় দেখিয়ে আর হুমকি দিয়ে বয়ান দেওয়ানো করা হয়ে থাকে, তাহলে ঘটনার তদন্ত করে আবারও তাঁদের বয়ান দায়ের করা হবে।