বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক রাজনৈতিক বিতর্ক আর তার মাঝেই এবার জল্পনা উঠতে শুরু করে দিয়েছে, তবে কি রাজস্থানে (Rajasthan) কংগ্রেস (Congress) সরকারের পতন ঘটে আসতে চলেছে রাষ্ট্রপতি শাসন?, এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোন ধারণা না মিললেও আপাতত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এবং স্পিকারের ওপর তাকিয়ে ‘ধীরে চলো নীতি’ অবলম্বন করে চলেছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)।
কি কারনে সৃষ্টি হল এহেন পরিস্থিতি? ঘটনার সূত্রপাত কংগ্রেসের সভাপতি নিয়োগ প্রসঙ্গ নিয়ে। সম্প্রতি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট কংগ্রেসের সভাপতি পদে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন। এরপরই গোটা রাজস্থান জুড়ে একপ্রকার বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ৯২ জন দলীয় বিধায়ক পদত্যাগ করাকে কেন্দ্র করে সেই বিতর্ক আরো বৃদ্ধি পায়। যদিও এখনো পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজস্থানের বুকে এহেন বিতর্ক মাঝেও এক প্রকার নিরব রয়েছেন অশোক গেহলট এবং স্পিকার সিপি জোশী। এক্ষেত্রে মোট ৯২ জন বিধায়ক ইতিমধ্যে পদত্যাগ করলেও স্পিকারের তরফ থেকে কোনরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপাতত স্পিকারের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে বিজেপি। এরপরই তারা রাজভবনের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজস্থানের উত্তাল রাজনীতি প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেন, “কংগ্রেসের বিধায়করা বর্তমানে নিজের ইচ্ছাতে পদত্যাগ করেছেন। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিধানসভার স্পিকারের এটা মেনে নেওয়া প্রয়োজন। তবে আমাদের দলের দরজা শচীন পাইলটের জন্য কখনোই বন্ধ নয়। এক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে নেওয়া হবে।”
অপরদিকে বিরোধী উপনেতা রাজেন্দ্র রাঠোড় বলেন, “বর্তমানে কংগ্রেস সরকারের ৯০% বিধায়করা পদত্যাগ করে ফেলেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভেঙে দেওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। আমরা রাজ্যের পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছি।” পরবর্তীতে তিনি বলেন, “বিধানসভার স্পিকারের সামনে ৯২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। উনি সিদ্ধান্ত নিক, তারপরেই আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
তবে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে প্রধানত দুটি বিষয়ের ওপর নজর রয়েছে সকলের। এক, কংগ্রেস সরকারের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেও এক্ষেত্রে শচীন পাইলটের প্রশংসা শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের গলায়। আবার অপরদিকে, দিল্লির পথে রওনা দিতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেটাই দেখার।