বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালাল নামে এক দর্জিকে খুনের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজস্থান পুলিশ এই নৃশংস খুনে অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ আখতারি ও মহম্মদ গাউস-কে গ্রেফতার করেছে। খবর অনুযায়ী, পুলিশ বলছে অভিযুক্ত দুজনই পালানোর চেষ্টা করছিল। রাজস্থানের রাজসামন্দ জেলা থেকে পুলিশ তাদের পাকড়াও করেছে বলে জানা গিয়েছে।
খবর অনুযায়ী, ২৮ জুন এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ আখতারি ও মহম্মদ গাউস কানহাইয়ালালের দোকানে প্রবেশ করে। কানহাইয়ালাল দর্জির কাজ করতেন। পরিমাপের অজুহাতে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে অভিযুক্তরা। পরে এরা নিজেরাই এই হত্যাকাণ্ড-র কথা জানিয়ে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। সাসপেন্ড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে সমর্থন করার অপরাধে কানহাইয়ালালকে নির্মমভাবে খুন করেছে বলে জানিয়েছে তাঁরা। উল্লেখ্য, গত মাসে নূপুর শর্মা নবী মোহাম্মদকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশজুড়ে।
आजतक से जुड़े अरविंद ओझा ने राजस्थान पुलिस के अधिकारी गजेंद्र सिंह से बात की. रिपोर्ट के मुताबिक उन्होंने ही दोनों आरोपियों को राजसमंद में पकड़ा. गजेंद्र ने बताया कि दोनों आरोपी एक बाइक पर सवार थे. उन्हें नाकाबंदी के दौरान हिरासत में लिया गया था. वहां से दोनों को उदयपुर लाया जा रहा है. इस बीच खबरें चल रही हैं कि दोनों को गिरफ्तार कर लिया गया है. हालांकि इस बात की अब तक आधिकारिक पुष्टि नहीं हुई है.
রাজস্থান পুলিশ অফিসার গজেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, তিনি রাজসমন্দে অভিযুক্ত দুইজনকেই ধরে ফেলেন। গজেন্দ্র জানান, অভিযুক্ত দুজনাই বাইকে চড়ে পালাচ্ছিল। সেই সময় তাদের। সেখান থেকে দুজনকেই উদয়পুরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
কানহাইয়া লাল হত্যার অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। যদিও সে গত ২১ বছর ধরে উদয়পুরে বসবাস করছিলেন। খুনের খবর সামনে আসার পর ভিলওয়াড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদয়পুরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের খবর সামনে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকার রাস্তায় ভিড় নেমে আসে এবং লোকজন স্লোগান দিতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদয়পুরে ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। এছাড়াও উদয়পুরের ধানমন্ডি, ঘন্টাঘর, হাতিপোল, আম্বামাতা, সুরজপোল, ভূপালপুরা ও সাভিনা থানা এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ১১ দিন আগে একটি ভিডিও তৈরি করেছিল অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ। ওই ভিডিওতে রিয়াজ বলছে যে, সে এই ভিডিওটি তবেই প্রকাশ করবে, যখন সে ‘নবীর সম্মান ক্ষুণ্ণ করা ব্যক্তির শিরচ্ছেদ করবই’। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রিয়াজ অন্যদেরও খুনের জন্য উস্কানি দিচ্ছে।