বাংলাহান্ট ডেস্ক: সত্তর থেকে আশির দশক ছিল রাজেশ খান্নার (Rajesh Khanna) যুগ। হিন্দি সিনেমায় কার্যত রাজত্ব করেছেন তিনি। বলিউডে ‘সুপারস্টার’ শব্দটির সঙ্গে পরিচয় সর্বপ্রথম রাজেশ খান্নাই করিয়েছিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১, এই ক বছরে পরপর ১৫ টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল তাঁর। প্রতিটিই ব্লকবাস্টার হিট। রাজেশ খান্নার নামেই ভরে যেত হল।
সে সময়ে রাজেশ খান্না আর শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore) ইন্ডাস্ট্রির হিট জুটি। যে ছবিতেই হাত দেন সেই ছবিই হিট হয়। আরাধনা, সফর, অমর প্রেম, আবিষ্কার, রাজা রানী সহ অনেকগুলি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দুজনে। কিন্তু এত হিট জুটি হওয়া সত্ত্বেও রাজেশ খান্নার একটি ব্যবহারের জন্য অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন শর্মিলা।
সম্প্রতি অভিনেতার দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অডিওবুক মুক্তি পায়। সেখানেই শর্মিলাকে স্মৃতিচারণ করতে শোনা যায় ইন্ডাস্ট্রির ‘কাকা’র। প্রবীণ অভিনেত্রী জানান, রাজেশ খান্নার একটা স্বভাব ছিল যা তাঁর খুব খারাপ রাগত।
সেটা হল সেটে দেরি করে আসা। সকাল নটায় কলটাইম থাকলে বেলা বারোটার আগে কিছুতেই সেটে এসে পৌঁছাতেন না তিনি। বারবার এমন হওয়ার পর বাধ্য হয়ে জুটি ভেঙে অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন শর্মিলা।
প্রয়াত সুপারস্টার সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য ফাঁস করেছিলেন তিনি। রাজেশ খান্না নাকি নিজের বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের সঙ্গে ভীষণ আন্তরিক ব্যবহার করতেন। না চাইতেও বহুমূল্য উপহারে ভরিয়ে দিতেন তাদের। এমনকি নতুন বাড়ি পর্যন্ত কিনে দেওয়ার আগে দুবার ভাবতেন না তিনি। কিন্তু প্রতিদানেও এমন কিছু তিনি আশা করে বসতেন যা দেওয়া সম্ভব হত না। ফলে শেষমেষ অভিনেতার সঙ্গে সহকর্মীদের সম্পর্ক খারাপ হত।
রাজেশ খান্নাকে বোঝা জটিল হলেও তাঁর অভিনয়ের গুণগ্রাহীর সংখ্যা যে কম ছিল না তা বলা বাহুল্য। অনবদ্য সব ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। স্টারডম পেয়েও শেষ জীবনটা একাকীত্বে কেটেছিল তাঁর। ২০১১ সালের ১৮ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন রাজেশ খান্না।