বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশের সবচেয়ে বড় গোল্ড এক্সপোর্টার কে জানেন? কি করেই বা তিনি হয়ে উঠলেন এরকম সফল (Success Story) ব্যবসায়ী? চলুন আজ তাঁর সাফল্যের গল্প জেনে নেওয়া যাক। দেশ-বিদেশে সোনার দামে লাগাতার ঊর্ধ্বগতির বাজারে ধনকুবেরদের আগ্রহ যেমন বাড়ছে, তেমনই আলোচনায় উঠে আসছে ভারতের সোনার ব্যবসার বিস্তার। এমন এক সময়ে দেশের সবচেয়ে বড় সোনা-গয়না রফতানিকারী হিসেবে সামনে আসে একটি পরিচিত নাম—রাজেশ মেহতা (Rajesh Mehta)। তাঁর মালিকানাধীন রাজেশ এক্সপোর্টস লিমিটেড আজ ভারতের সোনা-গয়নার সবচেয়ে বড় এক্সপোর্ট ব্র্যান্ড, যার ব্যবসার পরিধি ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের ৬০টি দেশে। দেশে থেকেই কার্যত বিশ্ববাজারে কর্তৃত্ব স্থাপন করেছেন তিনি।
ভারতের গোল্ড কিং রাজেশ মেহতার সাফল্যের কাহিনি (Success Story):
রাজেশ এক্সপোর্টস কেবল সোনা-গয়না তৈরি ও বিক্রিই নয়, বরং রিফাইনিং থেকেও শুরু করে রিটেল বিক্রি পর্যন্ত পুরো ভ্যালু চেইনে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। কোম্পানির সদর দফতর বেঙ্গালুরুতে। রাজেশ মেহতা বর্তমানে শুধু ভারতের নয়, দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের তালিকাতেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন (Success Story)।
আরও পড়ুন:সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের দাবিতে তপ্ত কর্মী মহল, রাজ্যকে আইনি নোটিশ ইউনিটি ফোরামের
সোনার ব্যবসা মেহতা পরিবারের উত্তরাধিকার। তাঁর বাবা জসওন্তরাই মেহতা গুজরাট থেকে কর্নাটকে এসে গয়নার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। রাজেশ মেহতা উচ্চশিক্ষা শেষ করে পরিবারের ব্যবসায় যোগ দেন। প্রথমদিকে তিনি চেন্নাই থেকে রূপার গয়না এনে রাজকোটে বিক্রি করতেন। পরে বেঙ্গালুরুর নিজের গ্যারাজে ছোট একটি ইউনিট খুলে সোনা-গয়না তৈরি শুরু করেন। এখান থেকেই শুরু হয় ভারতের বৃহত্তম সোনার সাম্রাজ্যের যাত্রা।
ব্যবসায় ধারাবাহিক সাফল্যের পর রাজেশ মেহতা আন্তর্জাতিক বাজারেও রফতানি শুরু করেন। ধীরে ধীরে রাজেশ এক্সপোর্টস বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জুয়েলারি এক্সপোর্ট ব্র্যান্ডে পরিণত হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনা রিফাইনারি—সুইজারল্যান্ডের ভ্যালক্যাম্বিকে ২০১5 সালে অধিগ্রহণ করেন তিনি। এই রিফাইনারি বছরে ২,০০০ টনের বেশি সোনা, রুপো, প্ল্যাটিনাম ও প্যালাডিয়াম প্রসেস করে। এর ফলে সোনা-রিফাইনিং শিল্পে ভারতের দখল আরও মজবুত হয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজেশ মেহতার অবস্থান সুসংহত হয়।

আরও পড়ুন:ভেঙ্কটেশ-রাসেল সহ ৯ জন খেলোয়াড়কে রিলিজ করল KKR! কাদের করা হল রিটেন? দেখুন তালিকা
বর্তমানে রাজেশ এক্সপোর্টস বিশ্বের মোট সোনা প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রায় ৩৫% নিজস্বভাবে পরিচালনা করে। ভারত ও সুইজারল্যান্ড—দু’দেশেই তাঁদের রিফাইনারি রয়েছে। দেশের সোনার রিটেইল ও এক্সপোর্ট বাজারে রাজেশ এক্সপোর্টসের আধিপত্য এতটাই শক্তিশালী যে ভারতের গয়না রফতানিতে এই সংস্থাই সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে। একটি গ্যারাজে ছোট ইউনিট থেকে যাত্রা শুরু করে কয়েক দশকের মধ্যে বিশ্বজোড়া সোনার সাম্রাজ্য—ব্যবসায়িক সাফল্যের এই গল্প আজ দেশের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।












