ত্রিপুরা ছেড়ে নিজের গড়ে এসে বিক্ষোভের মুখে রাজীব, উঠল ‘মীরজাফর দূর হঠো’ স্লোগান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একটা ডোমজুড় (domjur) ছিল তাঁর নিজের গড়। ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের এক বিশ্বস্ত সৈনিক। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপির খাতায়, দাঁড়িয়েছিলেন প্রার্থী হয়ে। কিন্তু নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলের সঙ্গে তৈরি হয় দূরত্ব। আবারও ফিরে যান তৃণমূলে। বাংলাতে নয়, পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলের খাতায় নাম লেখান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (rajiv banerjee)।

সেখানে নির্বাচনের প্রচারে অংশও নিয়েছিলেন তিনি। এবার ফিরে এলেন নিজের রাজ্যে। বাংলায় এসে হলেন জোর অপমানিত। শুধু তাই নয়, অপমানিত হলেন খোদ নিজের গড় ডোমজুড় থেকেই। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই দেওয়া হল ‘গদ্দার, মিরজাফর দূর হঠো’ শ্লোগানও, দেখানো হল কালো পতাকাও। সূত্রের খবর, দলবদলের কারণে তৃণমূলেরই একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর।

vjvv

হাওড়ার সলপ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান সুবীর ঘোষ শুক্রবার রাতেই প্রয়াত হন। শনিবার প্রয়াত সুবীর ঘোষের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ডোমজুড়ে গিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে গিয়েই পড়েন বিপাকে। উত্তেজিত গ্রামবাসী তাঁকে সুবীর ঘোষের বাড়িতে যেতেই দেয় না। বিক্ষোভের জেরে রাস্তা থেকেই ফিরে আসতে হয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেও, কোন লাভ হয় না, উল্টে তাঁর উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় ‘গদ্দার, মিরজাফর দূর হঠো’ শ্লোগান।

এবিষয়ে, প্রয়াত উপপ্রধানের পরিবারের সদস্যরা জানান, ইচ্ছাকৃতভাবেই অপমান করে রাজীববাবুকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দাবি, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের অনুগামীরাই এমনটা ঘটিয়েছেন। উল্টোদিকে নিজের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ জানান, নির্বাচনের সময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ব্যবহার করেছিলেন, এখন সেটারই প্লাটা প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর