বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গ্রেটার কোচবিহার (Greater Cooch Behar) আন্দোলনের নেতা থেকে বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। আর রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করেই ফের বাংলা ভাগের দাবি তুললেন বিজেপির নগেন্দ্র রায় ওরফে অনন্ত মহারাজ (Ananta Maharaj)। একদিকে আসন্ন লোকসভা ভোট, অন্যদিকে তার আগেই মহারাজের এই দাবি ঘিরে অস্বস্তিতে খোদ গেরুয়া শিবির।
ভোটের আগেই বাংলা ভাগের কথায় চড়ছে রাজনীতির পারদ। প্রসঙ্গত, সোমবারই রাজ্যসভার সাংসদ (Rajyasabha MP) হিসেবে শপথ নেন অনন্ত মহারাজ। আর তারপরই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সাংসদ। গ্রেটার কোচবিহারের দাবি থেকে তিনি সরছেন না, একথা একপ্রকার সাফ জানিয়ে দিলেন নেতা।
সোমবার শপথ গ্রহণের পর সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বাংলা, অসম, বিহারের কিছু অংশ নিয়ে গ্রেটার কোচবিহার গঠন করতে হবে। আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করতে হবে। এই বিষয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন নেতা।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের অনুষ্ঠান থেকে জীবনের আক্ষেপের কথা শোনালেন মমতা! বললেন, ‘রোজার সময়..’
সাংবাদিকদের সামনে এদিন তিনি বলেন, ‘গ্রেটার কোচবিহারের দাবি তো উঠছেই। সেটা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে যেতে হবে। সরকারের যা করণীয় তা করতে হবে। সে বিষয়ে আমি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবো।’
সাংসদের কথায়, ‘গ্রেটার কোচবিহারকে যাতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা যায়, সেই দাবি কেন্দ্রের কাছে তুলতেই হবে। সেখানকার সাধারণ মানুষ যেটা চাইছে… সঙ্গে শুধু উত্তরবঙ্গেই নয় অসমও চাইছে, বিহারও চাইছে, সবাই চাইছে।’
আরও পড়ুন: চলছে বিধানসভা! হঠাৎই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল মলয় ঘটককে, কী হয়েছে আইন মন্ত্রীর?
গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের নেতা অনন্ত মহারাজকে বিজেপি রাজ্যসভার প্রার্থী করার পরেই তিনি পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনড় থাকবেন কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে শপথ নিয়ে প্রথম দিনেই স্পষ্টতই তিনি সবটা বুঝিয়ে দিলেন।
এদিন বাংলা ভাগের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাগ করার কথা উঠছে কেন? কোন বাংলা ভাগ করতে চাইছে বলছে, সেসব আমি জানি না। কোচবিহার একটা রাজ্য। ওটা যাতে ফের পুনর্গঠন করা যায় তার জন্য বলছি।’
নেতার কথায়, ‘আমি গ্রেটার কোচবিহারের কথা বলছি, ১৯৪৭ সালে ১৮ জুলাই যেটা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিল পাস হয়, ইন্ডিয়ান ইনডিপেনডেন্স অ্যাক্ট যেটা হয় তাতে একটা ধারা আছে সেভেন ওয়ান-বি। সেখানে আমাদের মহারাজের কাছ থেকে যে সমস্ত জমি ব্রিটিশরা দখল করেছে, সেই চুক্তি সমাপন করে মহারাজাকে সব ফেরত দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই কোচবিহার গ্রেটার কোচবিহার হয়েছে। ভারত সরকারকে আমরা সেটাই আবার গঠন করতে বলছি।’