বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যসভায় নয়া রেকর্ড গেরুয়া শিবিরের। সদস্য সংখ্যার নিরিখে ৩ দশকের রেকর্ড ভাঙল তারা। সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ছুঁল ১০০ এর কোঠা। যা কি না ১৯৮৮ সালের পর থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে এই প্রথম। উল্টোদিকে কোনঠাসা হতে হতে কংগ্রেস এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যাতে সংসদের উচ্চকক্ষে বিরোধী দলের তকমা হারানো তাদের জন্য এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
শুক্রবার রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন ১৩ জন যার মধ্যে ১০ জনই কার্যতই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই গদি দখল করেন। অসমের দুটি এবং ত্রিপুরার ১টি আসনে শুক্রবার হওয়া নির্বাচনে জয়ী হয় বিজেপি এবং তাদের জোটসঙ্গীরাই। হিসেব মত, অসম বিধানসভার দুটি আসনের মধ্যে একটি থেকে জেতার কথা ছিল কংগ্রেসেরই। কিন্তু শেষমেষ সেমসাইড গোলেই ভেস্তে গেল সবকিছু। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়কেরই ক্রস ভোটে ওই আসনটি কংগ্রেসের বদলে চলে যায় ইউপিপিএলের কাছে। এই ইউপিপিএল প্রার্থীকে মনোনীত করেছিল বিজেপিই। ফলে এই প্রথমবার অসম থেকে একজনও থাকছেন না রাজ্যসভায়। উল্লেখ্য, একসময় অসম থেকেই কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। উল্টোদিকে আবার ত্রিপুরায়ও বামেদের হারিয়ে জয় হয়েছে বিজেপির।
অন্যদিকে পাঞ্জাবে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫ টি আসনে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি। কেরলে ২ টি আসন গেছে বামেদের দখলে, একটির গদি দখল করেছে কংগ্রেস। এই ভোটে ফার্স্ট বয় কার্যতই আম আদমি পার্টি। এর আগে কেজরিওয়ালের দলের দখলে ছিল না রাজ্যসভার একটিও আসন। কিন্তু প্রথমবারেই ৫টি আসনের দখল নিল তারা। অন্যদিকে ৫টি আসন থেকে কমতে কমতে একটিতে এসে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস।
এই নির্বাচনে ৪টি আসন লাভের পরই রাজ্যসভায় ১০০ ছুঁয়ে নতুন রেকর্ড গড়ল বিজেপি। এই প্রথম একক শক্তিতে তিন সংখ্যা ছুঁলো তারা। শেষবার ১৯৮৮ সালে কংগ্রেস একক শক্তিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিল। কিন্তু কমতে কমতে এখন তারা দাঁড়িয়ে রয়েছে ২৯টিতে। আপাতত আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই প্রায় ৬০টি আসন ফাঁকা হবে বিধানসভায়। এই আসনগুলির ভবিষ্যতের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে হাত শিবিরের ভবিষ্যতও। এই মুহুর্তে রাজ্যসভায় ১৩টি আসন সহ তৃতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ৬০টি আসনের অধিকাংশ নিজেদের দখলে না আনতে পারলে যে রাজ্যসভায় বিরোধী দলের তকমা ঘুচবে কংগ্রেসের সেকথা বলাই বাহুল্য।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর