ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে দ্বন্দ লাগিয়ে রাখতে পারলে সবথেকে লাভ ভারত বিরোধী বিদেশী শক্তিগুলির হয়। ইংরেজরা এসে ভারতে মানুষের মনে ধর্মের নামে হিংসার বীজ বুনেছিল। আর এখনও বিদেশী শক্তি গুলি সেই দ্বন্দ লাগিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যায়। অন্যদিকে বিতর্কিত ইস্যুগুলির সমাধান হলে দেশের মানুষ ধর্ম বিদ্বেষ দ্বন্দ ছেড়ে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবে। তাই অযোধ্যা মামলার রায় আশা দেশের জন্য একটা বড়ো উপলদ্ধি হবে। আজ আদালত ১০.৩০ নাগাদ অযোধ্যা মামলায় রায় দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
৫০০ বছরের পুরানো বিতর্কে আদালতের যায় রায় আসুক সকলের তা মেনে নেওয়া উচিত হবে। ভারতের জনগণকে আগামী সময়ে জল সমস্যা, বেকারত্ব সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তাই শান্তিপূর্ণ ভাবে আদালতের রায় মেনে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে সমস্থ সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের পক্ষ থেকে।
গুজব ছড়ানো, উস্কানিমূলক কথাবার্তা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে। দেশে যাতে কোনো সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি বিগড়ে না যায় তার জন্য কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারগুলি পস্তুতি নিয়ে রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে আগে থেকেই জওয়ান পাঠিয়ে সুরক্ষা ব্যাবস্থা কড়া করা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় ধারা ১৪৪ লাগু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের হাত খুলে দিয়েছে। আগে থেকেই সন্দেহে জনক দাঙ্গাবাজদের গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশে অস্থায়ী জেলখানা তৈরি রাখা হয়েছে। রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, RPF কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ৭৮ টি রেল স্টেশনে সুরক্ষা ব্যাবস্থা কড়া করে রাখা হয়েছে। বিশেষ সুরক্ষা সরবরাহকারী এই স্টেশনগুলির মধ্যে দিল্লি, মুম্বই সহ অনেকগুলি বড় স্টেশনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রামজন্মভূমির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের গুরুতরতার কথা বিবেচনা করে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।