‘মুমতাজ বেগম, গেরুয়া রঙ দেখলেই ক্ষেপে ওঠে’ বাংলায় সাধু হেনস্থার ঘটনায় মমতাকে তোপ রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিতের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুরুলিয়ায় সাধুদের উপর হামলার ঘটনায় (Gangasagar Sadhu Hackle Case) শনিবার সকাল থেকে উত্তাল রাজ্য। উত্তর প্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরে যাচ্ছিলেন পাঁচ সাধুর দল। তবে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুর এলাকায় তাদের গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, পুরুলিয়া দিয়ে যাওয়ার পথে তাদের বেধড়ক মারধর এবং হেনস্থা করে এলাকার মানুষজন। নির্মম এই ঘটনার প্রতিবাদে একজোটে সরব হয়েছে BJP নেতারা। ইতিমধ্যেই কড়া হাতে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। ঘটনার জেরে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এরই মধ্যে এই ইস্যুতে মুখ খুললেন রাম মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত (Ram Mandir Chief Priest)।

সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দারা অপহরণকারী সন্দেহে ওই সাধুদের মারধর করে। ইতিমধ্যেই সাধুদের হেনস্থা করার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। আর তাতেই উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। আর এই নিয়েই এবার ফুঁসে উঠলেন রামমন্দিরের পুরোহিত। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানালেন রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত।

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে রাম মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভাগওয়া অর্থাৎ গেরুয়া রঙ দেখলেই রেগে যান’।

তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া রং দেখলেই জ্বলে ওঠেন বলে কেউ কেউ ওকে মুমতাজ বেগম বলে ডাকেন। রাম নবমীর দিনও এই বাংলাতেই ঠিক একইভাবে ধর্মীয় শোভাযাত্রার উপর হামলা হয়েছিল। এ ধরনের হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির আইটি সেলের জাতীয় আহ্বায়ক অমিত মালব্য বলেন, হামলাকারীরা পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত অপরাধী। তিনি আরও বলেন, ‘মমতার শাসনকালের শাহজাহান শেখের মতো সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়া হয় এবং সাধুদের পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে’। ‘পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু হওয়া অপরাধ’ বলেও মন্তব্য করেন অমিত মালব্য।

peiest

আরও পড়ুন: শীতের তুফানি কামব্যাক! সাথে খেলা দেখাতে আসছে বৃষ্টি, কবে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ? আবহাওয়ার খবর

এই ঘটনায়, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জি জানান, ‘ সাধুরা একটি গাড়িতে ভ্রমণ করছিলেন যখন তারা পুজোর জন্য স্থানীয় কালী মন্দিরে যাওয়ার পথে তিনজন মহিলার সামনে থেমে তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করেন। মেয়েরা ভেবেছিল যে ওই সাধুরা তাদের অনুসরণ করছে। ভুল ধারণায় স্থানীয় বাসিন্দারা সাধুদের হেনস্থা করেছে। কিছু ভাষাগত সমস্যার কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। “


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর