বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাত্র কয়েকদিন আগেই আইএমএ উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে তার বিতর্ক নিয়ে রীতিমতো সরগরম ছিল পরিস্থিতি। সরাসরি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসাকে আক্রমণ করে বাবা রামদেব বলেছিলেন, অ্যালোপ্যাথি একটি বোগাস বিজ্ঞান। একের পর এক ওষুধ ফেল করছে। প্রথমে ফাবিফ্লু, তারপর রেমডিসিভির নিয়েও আক্রমণ শানান তিনি। সাথে সাথেই তিনি বলেন, দুবার করে ভ্যাকসিন নিয়েও হাজার হাজার ডাক্তার মারা যাচ্ছে। তাই এই চিকিৎসাবিজ্ঞান বোকামো ছাড়া আর কিছুই না। তার পর হঠাৎই আই এম এ সহ চিকিৎসকরা ক্ষেপে ওঠায় ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, তিনি আসলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পড়ছিলেন। এটা তার নিজের কথা না।
কিন্তু এখানেই ঘটনার শেষ নয়। ফের এক টিভি বিতর্কে ডাক্তারদের কুরুচিকর ভাবে আক্রমণ করে বসেন তিনি। ফলতো তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় আইএমে তরফে। এমনকি বেশকিছু টাকা জরিমানা দিতেও বলা হয়। এমতাবস্থায় অ্যালোপ্যাথিক আয়ুর্বেদ বিতর্ক যখন তুঙ্গে উঠেছে ফের একবার ভোল বদল করলেন যোগগুরু রামদেব। এদিন এক অনুষ্ঠানে ডাক্তারদের একেবারে দেবতার দূত বলে আখ্যা দেন তিনি। একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে হরিদ্বারে তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও সংস্থারই বিরুদ্ধে নই। চিকিৎসকরা সত্যিকারের দেবদূত। পৃথিবীতে ঈশ্বর প্রেরিত দূত তাঁরা। কিন্তু কোনও কোনও ডাক্তার ব্যক্তিগত ভাবে ভুল কাজ করতেই পারেন।’’
শুধু তাই নয়, জরুরি অবস্থায় যে ভীষণ প্রয়োজন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা সে কথাও মেনে নেন তিনি। তবে সাথে সাথে আবারও আয়ুর্বেদের কথা টেনে আনতে ভোলেননি রামদেব। তার মতে, সকলে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিন। সাথে সাথে আয়ুর্বেদ এবং যোগার সুরক্ষা বলয়ে থাকুন। তাহলে করোনা আপনাকে কোনদিনই আক্রমণ করতে পারবে না। তিনি নিযে খুব শিগগির ভ্যাকসিন নেবেন বলেও জানান এই অনুষ্ঠানে। সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রকল্পেরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন বাবা রামদেব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যোগগুরুর এই ১৮০ ডিগ্রি ভোলবদল প্রথমবার নয়। এর আগেও তার তৈরি আয়ুর্বেদিক ওষুধ ‘কোরোনিল’ প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাকে। প্রথমে তিনি বলেছিলেন, এই ওষুধ করোনা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি দেয়। আবার পরে সম্পূর্ণ ভুল বদলে তিনি বলেন, তিনি এমন কোন দাবি করেননি। তবে এই ওষুধ রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং সময়ে সময়ে নিজের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলা রামদেবের ক্ষেত্রে কোন নতুন বিষয় নয়।