বাংলা হান্ট ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তার আগে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। তবে, মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে ভগবান পৌঁছে যাবেন অযোধ্যার বাড়িতে বাড়িতে। এই প্রসঙ্গে অযোধ্যার মেয়র মহন্ত গিরিশ পতি ত্রিপাঠী জানিয়েছেন যে রামলালার মূর্তি পরিদর্শন কর্মসূচি চলাকালীন শহরের প্রধান এলাকাগুলি দিয়ে রামলালার মূর্তি নিয়ে যাওয়া হবে। এর মাধ্যমেই করা যাবে ভগবানের দর্শন।
অযোধ্যার মেয়র জানান যে, যখন কোনো মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন প্রথমে আমরা মূর্তিটিকে পরিদর্শন করাই। যেটিকে নগর ভ্রমণ হিসেবেও বিবেচিত করা হয়। এটি হল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়া। যা রামলালার প্রাণ প্রতিষ্টার সময়েও অনুসরণ করা হচ্ছে। এটাই হল সেখানকার সংস্কৃতি। পুরো শহরের মানুষ রামলালার দর্শন করতে পারবেন। রামলালার পরিভ্রমণের কার্যক্রম শুরু হলে তিনি সর্বত্র যাবেন এবং বিভিন্ন স্থানে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে। ভগবান সকলের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাবেন। এটা সৌভাগ্য যে গর্ভগৃহে বসার আগে রামলালা সকলের দরজায় কড়া নাড়বেন।
মোদীর রোড শো’র মতোই হবে প্রস্তুতি: মহন্ত গিরিশ পতি ত্রিপাঠী আরও জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শহরে সফরের সময় একই রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। একাধিক জায়গায় রামলালাকে স্বাগত জানানো হবে। এনিয়ে সকলের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সেখানে ভগবানের আরতি হবে এবং পুজোও হবে। পাশাপাশি, তিনি বলেন, “আমরা অযোধ্যাবাসীরা সৌভাগ্যবান যে, মন্দিরে বিরাজমান হওয়ার আগে ভগবান আমাদের সকলের দোরগোড়ায় আসবেন।”
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে পরিচ্ছন্নতার কাজ: অযোধ্যার মেয়র জানিয়েছেন যে, “আমরা তিনটি শিফটে আলাদাভাবে অযোধ্যা পরিষ্কার করছি। কোথাও কোনো আবর্জনা থাকবে না। কোথাও গোবরের স্তূপ দেখা যাবে না।” মেয়রের মতে, “আমাদের অযোধ্যার সমস্ত ড্রেন ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। যেমনটি প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা রয়েছে আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করছি। গোটা অযোধ্যাকে পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে এক নম্বর করার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: উড়ে যাবে চিন-পাকিস্তানের ঘুম! এবার আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় সেনা, ৮০০ কোটির চুক্তি কেন্দ্রের
৬ মাস আগে থেকেই চলছে প্রস্তুতি: মহন্ত গিরিশ পতি ত্রিপাঠী বলেন, পরিচ্ছন্নতার দিকটিকে মাথায় রেখে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচির ৬ মাস আগেই পুরো পরিকল্পনা তৈরি করে রেখে প্রচেষ্টা চালানো হয় সময়মতো কাজটি সম্পন্ন করার। তিনি বলেন যে, “পরিচ্ছন্নতা র্যাঙ্কিং-এর ক্ষেত্রে আমরা স্টার র্যাঙ্কিং পেয়েছি। সুতরাং, আমাদের প্রচেষ্টা হল পবিত্র হওয়ার আগে অযোধ্যাকে সম্পূর্ণ আবর্জনামুক্ত করা এবং যেখানে যেখানে আবর্জনা রয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণরূপে খালি করা।”
আরও পড়ুন: চন্দ্রজয়ের পর এবার সূর্যজয়ের পালা! আদিত্য-L1-এর মাধ্যমেই আজ ফের ইতিহাস তৈরির পথে ISRO
শীঘ্রই রুটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: মহন্ত গিরিশ পতি ত্রিপাঠী বলেন, “নগর ভ্রমণের একটি ঐতিহ্যবাহী রুট রয়েছে। আমরা সেই রুট অনুযায়ী যাব। তবে, এখনও পর্যন্ত রুটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদিও, রামলালার জায়গা থেকে নগর ভ্রমণের কর্মসূচি শুরু হবে। মূলত, নগর ভ্রমণ কতদিন হবে বলা মুশকিল। কারণ সবাই চাইবে ভগবান তাঁদের দোরগোড়ায় থাকুন। এমন পরিস্থিতিতে দেখতে হবে কিভাবে রুট নির্ধারণ করা হয় এবং কতটা সময় দেওয়া যায়। সেই অনুযায়ী নগর ভ্রমণ করা হবে।