উড়ে যাবে চিন-পাকিস্তানের ঘুম! এবার আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় সেনা, ৮০০ কোটির চুক্তি কেন্দ্রের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশকে (India) সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সময়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে সরকারের তরফে। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই এবার আরও একটি বড় খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এবার সেনার জন্য ৬৯৭ টি “বগি ওপেন মিলিটারি” রেলওয়ে ওয়াগন ও ৫৬ টি মেকানিক্যাল মাইনফিল্ড মার্কেটিং ইকুইপমেন্ট কেনা হচ্ছে।

এদিকে, এই সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক খরচ করবে ৮০২ কোটি টাকা। যার মধ্যে শুধুমাত্র “বগি ওপেন মিলিটারি ওয়াগন” কেনার জন্য খরচ করা হচ্ছে ৪৭৩ কোটি টাকা। উল্লেখ্য যে, রেলের “বগি ওপেন মিলিটারি ওয়াগন” সেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে সেনার প্রয়োজনীয় গাড়ি বিভিন্ন যুদ্ধ পরিস্থিতির সম্পন্ন এলাকায় সহজেই পাঠানো যায়। শুধু তাই নয়, এই মাধ্যমে আর্টিলারি গানস, লাইট ভেহিক্যালস সহ একাধিক সরঞ্জামও সরবরাহ করা হয়।

This time the strength of the Indian army increased

এমতাবস্থায়, জুপিটার ওয়াগন লিমিটেডের সাথে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাশাপাশি, মন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, এর ফলে সেনার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আরও মসৃণভাবে সম্পন্ন হবে। এদিকে, ওই চুক্তির মাধ্যমে সেনা ইউনিটের স্থানান্তরের বিষয়টিও সহজ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: চন্দ্রজয়ের পর এবার সূর্যজয়ের পালা! আদিত্য-L1-এর মাধ্যমেই আজ ফের ইতিহাস তৈরির পথে ISRO

আরও জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে এমএমএমই মার্ক ২-র জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষরিত রয়েছে, সেটি মাইনফিল্ড মার্কিং-এর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এই মাইনফিল্ড মার্কিং বিশেষ কিছু যুদ্ধাস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। এই চুক্তির ক্ষেত্রে খরচ হবে ৩২৯ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: “আমরা চিনের থেকে এগিয়ে, এবার টার্গেট আমেরিকা”, ভারতের উন্নয়নের খতিয়ান সামনে এনে চমকে দিলেন মাহিন্দ্রা

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ইন্ডিয়ান আইডিডিএম ক্যাটেগরিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি হল কেন্দ্রের মোদী সরকারের আত্মনির্ভর ভারতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটির মাধ্যমে মূলত দেশের মাটিতে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে গুরুত্বের কথা বলা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর