রামপুরহাটে গণহত্যা! বললেন মহম্মদ সেলিম, রাজনীতির কোনও যোগ নেই দাবি কুণাল ঘোষের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রণক্ষেত্র বীরভূমের রামপুরহাট। সেখান থেকে রাজনৈতিক হিংসার কারণে ১২ জনার মৃত্যুর খবর আসছে। সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বকটুই গ্রামের উপ প্রধানের উপর হামলা হয়। মুড়িমুড়কির মতো পড়তে থাকে বোমা। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন ভাদু শেখ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

এই ঘটনার পর অশান্তি আরও বেড়ে যায়। ওই গ্রামে রাতের অন্ধকারে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে। আর সেই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে কমপক্ষে ১২ জনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। তাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, মৃতদেহ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে।

এবার এই ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপড়েনও শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে বিধানসভায় রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে এবং হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে এই মামলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপও দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বঙ্গ সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “রামপুরহাটে গণহত্যা। লুঠের টাকার ভাগ নিয়ে বচসার জেরে খুন।” এই ঘটনায় রামপুরহাটের ডিজিকে তলব করে নবান্ন। ফিরহাদ হাকিম সহ আরও কয়েকজনা রামপুরহাট যাচ্ছেন বলে খবর।

অন্যদিকে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়ায় আসরে নেমেছেন কুণাল ঘোষও। তিনি বলেছেন, ‘রামপুরহাটে আগুনে মৃত্যু। দুঃখের। অবাঞ্ছিত। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদ। এর আগের দিন তৃণমূল উপপ্রধানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ, দমকল ব্যবস্থা নিয়েছে।”


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর