বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ। যার ফলে গর্ভবতী হয়ে সন্তানের জন্ম দেয় ওই তরুণী। এবং পরে সেই সব দায়িত্ব নিতে অস্বীকার ও মুখ খুললে তরুণীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনা ঘটেছে রামপুরহাটে (Rampurhat)। এই ঘটনা জানাজানি হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হল ওই কাউন্সিলরকে।
তরুণীর সন্তান জন্মের পর ফাঁস ধর্ষণকাণ্ড, বহিষ্কৃত তৃণমূল কাউন্সিলর (Rampurhat)
আরও একবার খবরের শিরোনামে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র যে ধর্ষণ তাই নয়, নির্যাতিতা অভিযোগ করেন ওই কাউন্সিলের ধর্ষণের পরে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এবং তিনি এক সন্তানের জন্মও দিয়েছেন। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত সেই কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের রামপুরহাট (Rampurhat) শহর কমিটির সহ-সভাপতি প্রিয়নাথ সাউকে এই ঘটনার জেরে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

আরও পড়ুন: ‘সুপারফুড’ চিয়া বীজ খেয়ে বিপদ ডেকে আনছেন? জানুন ৩টি সাধারণ ভুল
এই বিষয়ে রামপুরহাট তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, বীরভূমের রামপুরহাট পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের দুবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর তথা রামপুরহাট শহর কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন প্রিয়নাথ সাউ।
এবার তার বিরুদ্ধেই রামপুরহাট থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। এই ঘটনা জানাজানি হতেই যথারীতি জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পাশাপাশি শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল দল (TMC)।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেন প্রিয়নাথ সাউ। এবং এক তরুণীকে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই কাউন্সিলর। এবং ধর্ষণের ফলে তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এবং এক সন্তানের জন্ম দেন ওই নির্যাতিতা। তরুণীর দাবি ২০১৫ সালে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে প্রিয়নাথ সাউয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ভোটার কার্ডের কাজে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তিনি তরুণীকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর তরুণী গর্ভবতী হয়ে গেলে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এর পর এক সন্তানের জন্ম দেন নির্যাতিতা ।
তবে নির্যাতিতা জানান, এত কিছু হওয়ার পর তৃণমূল কাউন্সিলর নাকি তাকে মুখ খুলতে বারণ করেন এবং প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন। যদিও এই বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিয়নাথ সাউ। তিনি দাবি করেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমনকি পুলিশই অভিযোগের দায়ের হওয়ার পর অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলার কে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যায় বলেও অভিযোগ। সাংবাদিক বৈঠকে ডেকে তাকে সরাসরি দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয় (Rampurhat)।













