বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেফাঁস মন্তব্য করতে প্রযোজক রানা সরকারের (Rana Sarkar) জুড়ি মেলা ভার টলিউডে। একাধিক অভিনেতার সঙ্গে বেশ আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। যাঁদের মধ্যে অন্যতম দেব (Dev) এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। দুজনের সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কাছের মানুষ’ এবার নিশানায় চলে এসেছে রানার। নেটিজেনদের দাবি, নাম না করে দুই সুপারস্টারের নতুন ছবির আয় নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
পুজোর ঠিক শুরুতেই মুক্তি পেয়েছিল ‘কাছের মানুষ’। দেব অভিনীত এবং প্রযোজিত সাম্প্রতিক পরপর বেশিরভাগ ছবিই ভাল ব্যবসা করেছে, দেব নিজেও তেমনটাই দাবি করেছেন। এ বার পুজোয় কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন, বৌদি ক্যান্টিনের সঙ্গে টক্করে নেমেছিল কাছের মানুষ। কেমন ব্যবসা করল দেব প্রসেনজিতের ছবি? সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন রানা সরকার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো অভিনেতা বা ছবির নাম না করেই তিনি লিখেছেন, ‘১. চার কোটি হয়ে গেছে, ২. পঞ্চাশ লাখ হয়ে গেছে। পরের বার আরো ভালো হোক। শুভ বিজয়া’। এরপর আরো একটি লম্বা চওড়া পোস্টে রানা লিখেছেন, ‘বাংলা সিনেমার গত এক বছরের হিট বা সুপারহিটের ট্রেন্ড থেকে বোঝা যাচ্ছে তথাকথিত সুপারস্টারদের বক্সঅফিসে আর বিক্রি নেই।’
রানা আরো লিখেছেন, ‘অপরাজিত, বেলাশুরু বা কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন এই তিনটে সিনেমা সুপারহিট তার কৃতিত্ব জিতু কমল, আবির চ্যাটার্জি অথবা শিবপ্রসাদ-নন্দিতার। আরো একটা জিনিস বোঝার দুই সুপারস্টারের টিভি রাইট বিক্রির দাম তিন কোটি বা আরো বেশি, এটার মানে হলো এই সুপারস্টারদের সিনেমা মানুষ বাড়িতে ফ্রিতে টেলিভিশনে বা ওটিটি-তে দেখে, পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে সিনেমা হলে গিয়ে দেখার দর্শক সংখ্যা ফ্যানবেস ছাড়া আর নেই বললেই চলে,তাই বক্সঅফিসে এদের লাইফটাইম বিক্রি দুকোটি বা আড়াই কোটি সর্বোচ্চ হয়।’
এরপরেই নাম না করে তিনি কটাক্ষ করেছেন প্রসেনজিৎকে, ‘আরেকজন যিনি নিজেই ইন্ডাস্ট্রি তার শেষ হিট ২০১৯ সালের গুমনামী যেটা সৃজিত মুখার্জির ছবি, তারপর সব ফ্লপ। সঙ্গে তিনি আরো দাবি করেছেন, টনিক, কিশমিশ বা রাবণের বক্স অফিস সংগ্রহের হিসাব নাকি একদমই সত্যি না। তিনটি ছবির লাইফটাইম বক্সঅফিস কালেকশন নাকি আড়াই কোটিই ছাড়ায়নি!
সবশেষে রানা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণে সজ্ঞানে এই কথাগুলো তিনি বলেছেন। কারোর চ্যালেঞ্জ করার থাকলে প্রমাণ দেখিয়ে করতে পারেন। সঙ্গে রানার সংযোজন, ‘আজকের হিসেবে সুপারস্টার শুধুমাত্র জিতু কমল আর আবির চ্যাটার্জী, অন্য কেউ নয়’।