বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা ও বাঙালির মধ্যে অবাঙালি সংষ্কৃতি ঢুকে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দিন দিন মুম্বাইয়া হয়ে যাচ্ছে। এমনি অভিযোগ করেছেন প্রযোজক রানা সরকার (Rana Sarkar)। রিয়েলিটি শো ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন ৩’র সূচনায় দেবের (Dev) গণেশ পূজা করে শো শুরু করার ব্যাপার নিয়ে কটাক্ষ করেছেন প্রযোজক।
৬ অগাস্ট থেকে স্টার জলসায় শুরু হয়েছে নাচের রিয়েলিটি শো ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজন ৩। বিশালাকার গণেশ মূর্তির আরাধনা করে শোয়ের শুভ সূচনা করেছেন অন্যতম বিচারক দেব। সেই দৃশ্যের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন প্রযোজক রানা সরকার।
সঙ্গে ব্যাঙ্গাত্মক সুরে লিখেছেন, ‘আমরা তো জানতাম বাঙালির ঠাকুর মা দুর্গা, মা কালী, রাধা-কৃষ্ণ বা মহাদেব ভোলা মহেশ্বর… গণেশ পুজো করে কবে থেকে বাঙালি কাজ শুরু করতো? বাঙালি কি নিজের পরিচয় পালটে ফেললো? এই মুম্বাইয়া সংষ্কৃতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে কারা?’
সমর্থন পেতে পোস্ট করলেও শেষমেষ নিজেই ট্রোল হয়েছেন রানা সরকার। অনেকেই পালটা প্রশ্ন করেছেন, বাঙালি যে চিরকাল সব পুজোর আগে গণেশ পুজো করে সেটা কি রানা জানেন না? আরেকজন ব্যঙ্গ করেছেন, মহাদেব বাঙালি, মা দূর্গাও বাঙালি। অথচ তাঁদের সন্তান অবাঙালি হয়ে গেল? এ কেমন বিচার?
জনৈক নেটনাগরিক কটাক্ষ করেছেন, ঈশ্বরকে নিয়েও বাঙালি অবাঙালি ভেদাভেদ করেন রানা সরকার? আর তাই যদি হয় তবে তাঁর নিজের প্রোফাইল পিকচারেই রথযাত্রার ছবি রয়েছে। রথযাত্রা তো জগন্নাথ দেবের। রানা সরকারের যুক্তি মতো জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা বাঙালির ঠাকুর নন। তাহলে তিনি নিজে বাঙালি হয়ে কেন রথযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন?
কোনো মন্তব্যেরই কোনো উত্তর দেননি রানা সরকার। উলটে তুমুল ট্রোল হয়ে শেষমেষ পোস্টটাই মুছে দিয়েছেন তিনি। শুধু দেব নয়, পরোক্ষে কবি তথা ‘মানবজমিন’ পরিচালক শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেছেন রানা সরকার। লিখেছেন, ‘সিনেমা বানাতেও মেরুদন্ড লাগে… আপনারা যারা মেরুদন্ড খুঁজে পাচ্ছেন না তারা ‘মানবজমিন’ দেখতে আসুন’।