বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পারিবারিক সুত্রে রাজনীতিতে ভালো যায়গা পেয়েছিল রনদীপ সিং সুরজেওয়ালা। বাবা শামসের সিং সুরজেওয়ালা হরিয়ানার মন্ত্রী এবং রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। আর এই কারণে রনদীপ সুরজেওয়ালা (Randeep Surjewala) রাজনীতিতে চপ্পল না না ঘষেই ভালো পদ পেয়ে গেছিলেন। ১৭ বছর বয়সে যুব কংগ্রেসের মহাসচিব হয়ে গেছিলেন তিনি। ২১ বছর বয়সে আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস শুরু করেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বাবার সাথে থেকে সাংগঠনিক কাজ শেখেন। ২০০০ এর মার্চ মাসে তিনি যুব কংগ্রেসের রাষ্ট্রীয় সভাপতি হয়ে যান। ওই পদ পাওয়া তিনি হরিয়ানার প্রথম ব্যাক্তি ছিলেন। ২০০৫ এর ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তিনি ওই পদে বহাল ছিলেন। এটা ওনার ইতিহাসে সবথেকে দীর্ঘ কার্যকাল ছিল।
২০০৪ এর ডিসেম্বর মাসে রনদীপ সুরজেওয়ালা-কে হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ দেওয়া হয়। এরপরের বছর বিধানসভা নির্বাচনে ৬৭ টি আসন দখল করে কংগ্রেস হরিয়ানায় ক্ষমতায় আসে। এরপর রনদীপ সুরজেওয়ালাপ্রায় ১০ বছর ভুপেন্দ্র সিং হুড্ডা’র ক্যাবিনেটে ছিলেন। ২০১৪ এর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হারলেও, রনদীপ সুরজেওয়ালা জয়ী হয়েছিলেন।
১৯৯৬ আর ২০০৫ এর হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে রনদীপ সুরজেওয়ালাদুইবার ওম প্রকাশ চৌটালাকে হারিয়ে দেন। অবাক করা কথা হল, ওই দুই বারই ওম প্রকাশ চৌটালা মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে নির্বাচনে লড়েছিলেন। আর এই কারণে ওনাকে জায়েন্ট কিলার নাম দেওয়া হয়, আর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ওনাকে হরিয়ানার ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী রুপে দেখতে থাকেন। এরপর রাহুল গান্ধী ওনাকে নিজের টিমে যুক্ত করে নেয়। রাহুল গান্ধীর সংস্পর্শে আসার পর থেকেই ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। রাহুল গান্ধীর টিমে যুক্ত হওয়ার পর উনি হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যান। উনি যেই আসনে হারেন, সেই আসন ২০০৫ থেকে ওনার পরিবার জয়ী হয়ে আসছিল।
কখনো হরিয়ানার ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী রুপে দেখা জায়েন্ট কিলার রনদীপ সুরজেওয়ালারাহুলের সংস্পর্শে এসে ১০ মাসের মধ্যে দুবার হরিয়ানার বিধানসভার নির্বাচনে হেরে যান। জানুয়ারি মাসে উনি হরিয়ানার জিন্দ আসন থেকে উপ নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি তৃতীয় স্থান হাসিল করেন। এরপর ২০১৯ এর হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও উনি আবার হারের মুখ দেখেন।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…