বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি নিজেও একজন অ্যাসিড অ্যাটাক সারভাইভার। তাই খুব ভাল ভাবেই এর যন্ত্রণাটা। এমনটাই মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের বোন রঙ্গোলি চান্দেল। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে দীপিকা পাডুকোন অভিনীত ‘ছপক’-এর ট্রেলার। সেই ট্রেলার দেখেই দীপিকা ও পরিচালক মেঘনা গুলজারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রঙ্গোলি।
সাধারণত বলিউডের অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে তাঁর একপ্রকার আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। বোন কঙ্গনার হয়ে অনেকের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে রঙ্গোলিকে। কিন্তু দীপিকার আগামী ছবি ছপকের সঙ্গে নিজের অনেকটাই মিল খুঁজে পেয়েছেন তিনি। ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ট্রেলারটি শেয়ার করে ক্যাপশনে রঙ্গোলি লেখেন, “অসাধারণ, সবার এই ছবিটা দেখা উচিত”। দীপিকা ও মেঘনার প্রশংসা করে তিনি আরও লেখেন, “নেঘনা ও দীপিকার এই ছবিটা দেখে অনেকেই চোখের জল আটকে রাখতে পারবেন না। আমি ও আমার পরিবার যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, যে কুসংষ্কারগুলির সম্মুখীন হয়েছি তা মৃত্যুর থেকেও ভয়ঙ্কর। একজন অ্যাসিড অ্যাটাক সারভাইভারের জীবনকাহিনী জানা উচিত েই দেশবাসীর। প্রার্থনা করি এই ছবি সফল হোক”।
https://twitter.com/Rangoli_A/status/1204312351505207297
https://twitter.com/Rangoli_A/status/1204318335078301696
২০০৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় দেরাদুনে অ্যাসিড হামলার শিকার হন রঙ্গোলি চান্দেল। একজন যুবকের প্রেম প্রস্তাব অস্বীকার করার জন্য তাঁর মুখে এক লিটার অ্যাসিড ছোঁড়া হয়। ৫৪টি অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন রঙ্গোলি। শুধু তিনি একা নন। তাঁর কথায়, বোন কঙ্গনা রানাওয়াতকেও নাকি শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়।
দীপিকা পাডুকোন অভিনীত ‘ছপক’ ছবিটি অ্যাসিড অ্যাটাক সারভাইভার লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনকাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে। ছবির পরিচালনা করেছেন মেঘনা গুলজার। আগামী বছর ১০ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে ‘ছপক’।