বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজপরিবার থেকে রাজনীতির ময়দান! সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের ‘রানিমা’ অমৃতা রায় (Rani Maa Amrita Roy)। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া পতাকা। শোনা যাচ্ছে, চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি (BJP)। যদি সত্যি এমনটা হয়, তাহলে ‘কৃষ্ণনগরের লড়াই’ জমে যাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
১৯৬১ সালে জন্ম অমৃতার। ১৯৮১ সালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্য সৌমিশ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। এই সূত্রেই তাঁকে ‘রানিমা’ বলে চেনেন সেখানকার মানুষ। জানা যাচ্ছে, কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলের ছাত্রী ছিলেন অমৃতা রায়। পরবর্তীকালে রানি বিড়লা কলেজ থেকে সম্পন্ন করেন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা।
উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন কলকাতার লরেটো হাউসে। তবে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারেননি। দ্বিতীয় বর্ষ অবধিই পড়েছিলেন কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) ‘রানিমা’। এছাড়া বেশ কিছু পেশাগত কোর্সও করেছেন তিনি। টিচার্স ট্রেনিং কোর্স এবং মন্টেসরি কোর্স করা আছে তাঁর। পরবর্তীকালে অবশ্য ফ্যাশান ডিজাইনিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন।
আরও পড়ুনঃ লসে ডুবে কোম্পানি! নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলকে ৪৫ কোটি চাঁদা কলকাতার সংস্থার, নেপথ্যে কোন প্রভাবশালী?
কৃষ্ণনগরের রাজপরিবারের সদস্য হলেও বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় থাকেন অমৃতা। সৌমিশ এবং অমৃতার পুত্র মনীষ চন্দ্র রায় কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী। তবে উৎসবের সময় ভিটেমাটির টানে ফের ফিরে আসেন কৃষ্ণনগরে। এখনও রাজবাড়িতে দুর্গা পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। সেখানে দেখা যায় অমৃতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
প্রসঙ্গত, রাজ পরিবারের সদস্যদের রাজনীতির আঙিনায় পা রাখাটা নতুন কোনও ব্যাপার নয়। ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে রাজস্থান, উদাহরণ রয়েছে একাধিক। এবার রাজনীতির দুনিয়ায় পা রাখলেন কৃষ্ণনগরের ‘রানিমা’। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই ভোট ময়দানেও ‘অভিষেক’ হবে তাঁর। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূলের পোড় খাওয়া নেত্রী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অমৃতাকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে খবর। গতবার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মহুয়া। চব্বিশের ভোটের পর কার মুখের হাসি চওড়া হয় সেটাই এবার দেখার।