বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছর-বছর টেলিভিশনের পর্দায় কত সিরিয়াল যায় আর আসে! কিন্তু তারই মাঝে এমন কিছু সিরিয়াল থাকে যায় যা শেষ হওয়ার পরেও প্রিয় চরিত্রদের ভুলতে পারেনা দর্শক। বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচারিত এমনই এক কালজয়ী মেগা সিরিয়াল ছিল স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচারিত ‘ইষ্টিকুটুম’। এই মেগা সিরিয়ালের হাত ধরেই রাতারাতি বাংলা জোড়া খ্যাতি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী রণিতা দাস (Ranieeta Dash)।
শুটিং ফ্লোরে কেন কাঁদতেন রণিতা (Ranieeta Dash)?
বাহামণির চরিত্রে অভিনয় করেই বাংলার দর্শকদের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন তিনি (Ranieeta Dash)। সে সময় খুব অল্প বয়সেই অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন রণিতা (Ranieeta Dash)। দেখতে দেখতে বেশ অনেক বছর হল টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচার শেষ হয়েছে এই মেগার। কিন্তু আজও দর্শকদের চোখে লেগে রয়েছে আদিবাসী গ্রামের মেয়ে বাহামণির চরিত্রের রণিতার নিখুঁত অভিনয়।
এই মেগা শেষ হওয়ার পর রণিতা অভিনয় করেছেন একের পর এক চরিত্রে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁকে কোনো চরিত্রই বাহামণির চরিত্রের মতো জনপ্রিয়তা এনে দিতে পারেনি। তাছাড়া সব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে সবসময়ই স্পেশাল হয়ে থাকে তাঁদের প্রথম কাজ। ব্যতিক্রম নন রণিতাও। বাহামণির চরিত্রটি আজও অভিনেত্রীর মনের খুব কাছের।
তাই আজও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জীবনের প্রথম সিরিয়ালের কথা উঠলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তাই প্রথম সিরিয়ালে অভিনয়ের সেই স্মৃতি এখনো তরতাজা রণিতার মনে। একবার এমনই এক সাক্ষাৎকারের অভিনয় জীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা অজানা কথা উঠে এসেছিল রণিতার মুখে।
সে সময় প্রথম সিরিয়ালে অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রণিতা বলেছিলেন, ‘আমার মনে আছে যখন শুটে বেশি চাপ থাকত, আমি কেঁদে ফেলতাম। মনে হত, আমি আর পারছি না। আমার মনে হয়, একটা জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার পর, আমি সবসময় ভাবতে থাকতাম এরপর কী?’ প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই রণিতা বেশ কিছু ওটিটি সিরিজে অভিনয়ের জন্যও কথা বলেছেন। তবে এখনই কিন্তু তিনি ধারাবাহিকে ফিরছেন না।
তবে একটা সময় নাকি ব্যক্তিজীবন নিয়ে অনেক বেশি ভেবে ফেলেছিলেন রণিতা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘ব্যক্তি জীবন নিয়ে এখন মনে হয় ওই সময় বড্ড বেশি ভেবেছিলাম। অতটা না ভাবলেও হত। মানে যখন যেটা নিয়ে বেশি ভাবার কথা ছিল, তখন সেটা নিয়ে বেশি না ভেবে, অন্য কিছু নিয়ে বেশি ভেবেছি।’