বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা। এহেন পরিস্থিতিতেই সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে আবারও বসলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। বৃহস্পতিবারই শ্রীলঙ্কার নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি। ২২৫ টি আসনের সংসদে মাত্র একটিই আসন রয়েছে বিক্রমাসিংহের।
ইউনাইটেড ন্যাশানাল পার্টির এই ৭৩ বছর বয়সি নেতা আজই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন। এর আগে গতকাল রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার কথোপকথনও সারেন তিনি। শ্রীলঙ্কার চার বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহেকে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। যদিও মাত্র ২ মাস পরই আবারও তাঁকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করেন সিরিসেনা।
সূত্রের খবর, শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন দল পোদুজেনা পেরামুনা, বিরোধী দল সামাগি জনা বালাভেগায়া এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দল সমর্থন জানিয়েছে বিক্রমাসিংহেকে। অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাঁর ক্রস পার্টি সমর্থন রয়েছে যা ছয় মাস স্থায়ী হবে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে , ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা, প্রধান বিরোধী দল সামাগি জনা বালভেগায়া এর একটি অংশ এবং অন্যান্য কিছু দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখানোর জন্য বিক্রমাসিংহের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে। ইউএনপি চেয়ারম্যান ভাজিরা অভয়বর্ধন বলেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিক্রমাসিংহে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সক্ষম হবেন। সোমবার পদত্যাগ করা মাহিন্দা রাজাপাকসের স্থলে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন বিক্রমাসিংহে।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার অন্যতম এক তাবড় নেতা বিক্রমাসিংহে। এর আগেও ক্ষমতায় থাকা কালীন তাঁর দূরদর্শী নীতির মাধ্যমেই দেশের অর্থনীতি পরিচালনা করেছেন তিনি। তাঁর আন্তজার্তিক স্তরে পরিচিতি এই মুহুর্তে শ্রীলঙ্কার ভাগ্য ফেরাতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।