বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর প্রতারণার ঘটনা ঘটলো। এবং সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার! নাগরাজু বুদুমুরুর নাম হয়তো অনেকেই শোনেননি। অন্ধ্রপ্রদেশের রঞ্জু খেলা এই ক্রিকেটার সম্প্রতি নিজেকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডির নাম করে ৩ কোটি টাকার জন্য ৬০ টি কোম্পানিকে প্রতারণা করেছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে তিনি নিজেকে রেড্ডির ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে দেখিয়ে ২৮ বছর বয়সী একজন মিউনিসিপ্যাল ইলেকট্রনিক্স কর্মচারীকে ডেকে, তাকে প্রতিভাবান ক্রিকেটার রিকি ভুঁইকে স্পনসর করতে বলেছিলেন। রিকি সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য প্রশংসনীয় অভিনয় করেছেন।
নাগরাজু বুদুমুরু নামের এই ক্রিকেটার ওই চেইন অফ স্টোরের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে ফোন করে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। তিনি অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে তরুণ ব্যাটসম্যান রিকি ভুঁইকে স্পনসর করার জন্য ১২ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। এই প্রতারণাটি করার সময় তিনি নিজের মিথ্যা পরিচয় প্রমাণ করার জন্য কিছু জাল কাগজপত্রও তৈরি করে ব্যবহার করেছিলেন।
নাগরাজু বুদুমুরুকে এই টাকা পাঠানোর পরে, কর্পোরেশন অভিযোগ দায়ের করার আগে ক্রিকেট সংস্থার সাথে কথা বলে তাদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অপেক্ষা করেছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে যে এই প্রাক্তন ক্রিকেটার বহু কোটি টাকার প্রতারণা করেছে এবং ২০১৮ সাল থেকে শুরু করে কিছুদিন আগে পর্যন্ত ৬০ টিরও বেশি কোম্পানিকে প্রতারণা করেছে। এছাড়াও, পুলিশ তার সঙ্গে থাকা প্রায় ৭.৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাক্তন ক্রিকেটের নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার পরে পুলিশ তার কাছ থেকে আরও প্রায় ৭.৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে। সাইবার ক্রাইম বিভাগের একটি রিপোর্ট অনুসারে, বুদুমুরু ক্রিকেটের মাঠে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ২০১৮ সালে তিনি ক্রমশ হারিয়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেটের জগত থেকে। এরপর নিজের হাইপ্রোফাইল জীবনযাপন বজায় রাখার জন্য বুদুমুরু লোক ঠকানোর রাস্তা বেছে নেন।
সাইবার টাইম বিভাগের এক আধিকারিক নিজের রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, “যখন এই ক্রিকেটার ২০১৮ সালের পরে মাঠে আর সাফল্য পাননি, তখন তিনি নিজের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা বজায় রাখার উপায় খুঁজতে শুরু করে কারণ সে ওই জাতীয় জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন অজুহাতে লোকেদের প্ররোচিত করার পিছনে এটাই ছিল তার প্রাথমিক উদ্দেশ্য।” প্রসঙ্গত তিনিই একসময় আইপিএলে সানরাইজ হায়দ্রাবাদ দলের অংশ ছিলেন কিন্তু কোনওদিনও মাঠে নামার বা আইপিএল খেলার সুযোগ পাননি।