জনপ্রিয়তার চূড়ায় উঠেও ফের পতন রানু মণ্ডলের, ফিরলেন সেই রানাঘাট স্টেশনেই

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ‍্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি সেলিব্রিটি বনে গিয়েছিলেন রানাঘাটের (ranaghat) রানু মণ্ডল (ranu mondal)। রানাঘাটের রেলস্টেশন থেকে বেরিয়ে মুম্বইয়ের ঝাঁ চকচকে লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত হয়ে যান তিনি। বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার সুরে গান গান। নানা রিয়েলিটি শোতেও ডাক পান রানু।

বহুদিন পর সংবাদে উঠে এল রানু মণ্ডলের (ranu mondal) নাম। ২০১৮ তে অনেক স্মরনীয় ঘটনাই ঘটেছে। কিন্তু সেই তালিকায় একজনের নাম না রাখলেই নয়। তিনি রানু মণ্ডল। গত বছরের শেষের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া মোটামুটি তিনি একাই মাতিয়ে রেখেছিলেন।


তাঁর অবিশ্বাস্য ভাগ্যের পরিবর্তন দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল সকলেরই। প্রথম প্লেব্যাকও প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু তারপরেই ঘটে ছন্দপতন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনের জন্য নেটিজেনদের হাসি-তামাশার পাত্রী হয়ে ওঠেন রানু।

তবে এখন শোনা যাচ্ছে ফের অভাবের মুখে পড়েছেন রানু মণ্ডল। আগে মাঝে মাঝে অনুষ্ঠানে ডাক পড়লেও লকডাউন শুরু হতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেসব। অপরদিকে বলিউডেও আর কোনো গান গাইতে শোনা যায়নি রানুকে। সব মিলিয়ে ফের আগের অবস্থাতেই ফিরে এসেছেন তিনি।

তবে নেটিজেনদের একাংশের বক্তব‍্য, এমনটা হওয়ারই ছিল। হঠাৎ করেই রাতারাতি তারকা বনে গিয়ে চোখে ধাঁধা লেগে গিয়েছিল রানুর। বেশ কয়েকবার অনুরাগীদের সঙ্গে খারাপ ব‍্যবহার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই কারণেই অনুরাগীরা রানুর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে।


জানা গিয়েছিল, বলিউডে গান গাওয়ার পর পুরনো বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে উঠে এসেছিলেন রানু মণ্ডল। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের পুরনো বাড়িতেই ফিরে যেতে হয় তাঁকে। তবে অভাবের মধ‍্যেও লকডাউনে দুঃস্থ প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়িয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন রানু।

পাড়ায় যারা গরিব ও অসহায় মানুষ রয়েছেন তাদের জন‍্য বিনামূল‍্যে রেশনের ব‍্যবস্থা করেন তিনি। বাড়ি থেকেই চাল, ডাল, আলু, আবশ‍্যকীয় জিনিসের যোগান দিচ্ছিলেন রানু। তাঁর বক্তব‍্য ছিল, ঈশ্বর তাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। বিনিময়ে এই মহামারিতে তিনিও মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান।

সেই সঙ্গে সবাইকে করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে আসারও আবেদন করেন রানু। এই প্রসঙ্গে রানু বলেন, “যেখানে ভালবাসা সেখানেই ভগবান। সততার ফল কখনও বৃথা যায় না। মানুষ ভাল কাজ করলে তার ফল কখনও না কখনও পাবে।”

X