বাংলাহান্ট ডেস্ক: অনেকদিন পর হয়তো আবার একটু সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের মুখ দেখতে পাবেন রানু মণ্ডল (Ranu Mondal)। বলিউডে তাঁর বায়োপিক হচ্ছে। রানুর অতীত জীবনের গল্প উঠে আসবে সকলের সামনে। তিনি নিজে গান গেয়েছেন বায়োপিকে। কলকাতায় গিয়ে গান রেকর্ড করে এসেছেন রানু। সেই সঙ্গে আবারো মাতামাতি শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে।
এতদিন শুধু ইউটিউবারদের কাছেই জনপ্রিয় ছিলেন রানু। যখন তখন রানাঘাটে তাঁর এক চিলতে বাড়িতে গিয়ে হাজির হতেন তাঁরা। তারপর একের পর এক আবদার। কখনো ভাইরাল গান, কখনো নাচ, এমনকি বিতর্কিত মন্তব্য করার আর্জিও আসত বলে দাবি করেছেন রানু। ভিডিওতে ভিউ তোলার জন্য ইউটিউবাররা মাঝে মাঝে পচা বিরিয়ানিও নিয়ে আসতেন বলে অভিযোগ করেছেন রানু।
যথাসাধ্য আবদার রাখার চেষ্টা করতেই দেখা যায় রানুকে। এই যেমন একজন ফুলের সাজে সাজিয়েছেন তাঁকে। সঙ্গে মুখে মেকআপের ছোঁয়া। সেজেগুজেই হিন্দি গান ধরেছেন রানু। ‘মুঝে পিয়া ঘর যানা থা’ গাইতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কমেন্টে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, রানুকে এমন ভাবে সাজিয়ে মজা করার কি খুব দরকার আছে? সাজ নিয়ে মজা করলেও অনেকেই রানুর গানের প্রশংসা করেছেন।
কিছুদিন আগেই দক্ষিণ কলকাতায় গান রেকর্ড করতে এসেছিলেন রানু। কিন্তু নতুন জায়গায় এসে অপ্রস্তুতের একশেষ হয়েছিলেন তিনি। চেনা রানুর সঙ্গে এই রানুর যেন কোনো মিলই নেই। এক নাগাড়ে একটাই কথা বলে যাচ্ছিলেন, “বাড়ি যাবো। ভাল লাগছে না।” আসলে রানু মণ্ডল কলকাতায় আসছেন শুনে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি সাংবাদিক, ইউটিউবারদের একাংশ। তাদের বিচিত্র সব দাবি। অনেকে ‘কাঁচা বাদাম’ গান গেয়ে শোনানোর জন্যও জোর করেছিলেন।
রানু জানিয়েছিলেন, মুম্বই থেকে ফেরার পর মাসে কখনো চার হাজার কখনো পাঁচ হাজার টাকা পেতেন। তারপর সেটাও বন্ধ হয়ে গেলে নিজেই গান গাইতেন, বাড়িতে ইউটিউবাররা আসে, তারা খাবার নিয়ে আসে। কেউ বিস্কুট, কেক, অনেক সময় বিরিয়ানিও আনে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই খাওয়া যায় না সেটা। ফেলে দিতে হয় ডাস্টবিনে।