বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বালুরঘাটে বছর ২২-এর এক বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীকে ধর্ষণ (Rape) ও খুনের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে। তিন দিন আগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
টাকা দিয়ে ঘটনা (Rape) ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা অভিযুক্তের পরিবারের
ঘটনার (Rape) পর অভিযুক্তের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে একটি সালিশি সভা বসানো হয়। সেখানে অভিযুক্তের পরিবার নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ চল্লিশ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে ওই তরুণীর পরিবারের স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, টাকার দরকার নেই, তাঁরা চান অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ আরও বাড়ে।
অভিযোগ দায়েরের পর বালুরঘাট থানার পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগের পরও অভিযুক্তকে ধরতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত যেহেতু শাসক দলের কর্মী, তাই পুলিশ কঠোরভাবে কোন ভূমিকা নিচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই তরুণী ছোট থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। হাঁটাচলা করতে পারেন না, কথাও স্পষ্ট বলতে পারেন না। এমন অবস্থায় তাঁর উপর এই নৃশংস আক্রমণ (Rape) রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনায় তাঁরা ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুনঃ জেল নয়, সমঝোতা! চেক বাউন্স মামলায় যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই প্রতিবন্ধী তরুণীর উপর নৃশংস হামলার (Rape) অভিযোগ ঘিরে উত্তাল বালুরঘাট। তিন দিন পেরিয়েও অভিযুক্তের গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার জল কতদূর গড়ায়, অভিযুক্ত শাস্তি হয় কিনা, এখন এটাই দেখার।