বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরজিকর ধর্ষণ (Rape Case) এবং খুনের ঘটনার স্মৃতি আজও টাটকা রাজ্যবাসীর মনে। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ জায়গা করে নিচ্ছে সংবাদ শিরোনামে। এবার আবারও একবার আরজিকর কাণ্ডের স্মৃতি উসকে দিয়ে ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগ উঠল রাজ্যের নামী সরকারি মেডিকেল কলেজের হস্টেলে।
আরজিকরের স্মৃতি উসকে ফের ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগ
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হস্টেলে এবার ধর্ষণের অভিযোগ। এক জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। প্রেমিকাকে হস্টেলে ডেকে ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগ উঠেছে ওই জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, ওই জুনিয়র ডাক্তারের প্রেমিকাই বাঁকুড়ার ছাতনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতা। তবে যেহেতু ঘটনাটি বর্ধমানে ঘটেছে তাই ছাতনা থানা থেকে বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে এফআইআর।
আগাম জামিনের আবেদন অভিযুক্তের: জানা যাচ্ছে, আদালতের নির্দেশে রুজু হয়েছে মামলা। তবে গ্রেফতারি এড়াতে অভিযুক্ত আগাম জামিনের আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্ধমান আদালত সূত্রে খবর, যতদিন না চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত সপ্তাহে দুদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা এবং মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে এ ধরণের অপরাধ না করার এফিডেভিট করে মুচলেকা দিতে হবে। এই শর্তে অভিযুক্তের আগাম জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০ দিনের মধ্যে সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন : পুজোর আগে বড় ধাক্কা, পরপর দুই সিরিয়াল বন্ধ হচ্ছে জি বাংলায়!
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে: অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারের আইনজীবীরা জানান, যেহেতু নির্যাতিতা সাবালক তাই ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগ সঠিক নয় বলেই সওয়াল করা হয়েছে আদালতে। তাছাড়া ঘটনার কয়েকদিন পরে জানানো হয়েছে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ঘটনার দুমাস আগে সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে পরিচয় হয় দুজনের। গত ৬ ই জুলাই নির্যাতিতাকে মেডিকেল কলেজ হস্টেলে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার। প্রেমিকা পৌঁছালে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। তারপর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। কিন্তু তারপরেই বিয়ে করতে তিনি অস্বীকার করেন বলে উঠেছে অভিযোগ। এরপরেই গত ১৬ ই জুলাই ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।
আরও পড়ুন : ভিনরাজ্যে হেনস্থার স্বীকার! পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মামলার শুনানি পিছল হাইকোর্টে, কারণ কী?
এই গোটা ঘটনায় মেডিকেল কলেজ হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। একজন বহিরাগতকে কীভাবে সবার চোখ এড়িয়ে হস্টেলে ঢোকানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি কটাক্ষ করেন, এতেই প্রমাণিত যে আরজিকরের ঘটনার পরেও রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নড়বড়ে।