বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যাওয়ার নামে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের সাটুই এলাকায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের (Rape) অভিযোগে তোলপাড় এলাকা। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তিনজন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছে।
ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গণধর্ষণের (Rape) শিকার
জানা গেছে, বহরমপুর থানার সাটুই এলাকার পোড়াডাঙ্গা গ্রামের ওই নাবালিকা। এলাকারই এক যুবক নবমীর রাতে তাকে ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছিল। প্রতিবেশী হওয়ায় কোনও সন্দেহ ছাড়াই রাজি হয়ে যায় নাবালিকা। সেই মত তারা বের হয় ঠাকুর দেখার জন্য। তারপরেই গণধর্ষণের (Rape) শিকার হয় ওই নাবালিকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের দুই বন্ধু এলাকার একটি কার্লভাটে মদ্যপ অবস্থায় বসেছিল। অভিযোগ, তারা জোটবেঁধে নাবালিকাকে এলাকার একটি ইটভাটায় নিয়ে যায় এবং সেখানে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ (Rape) করে। নির্যাতিতা জানান, ঘটনার পর কোনওক্রমে বাড়ি ফিরে আসে ওই নাবালিকা এবং পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সাটুই পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সুব্রত ঘোষ, মনোজ ঘোষ এবং সুমন মণ্ডল নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বহরমপুর আদালতে তোলা হলে তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুনঃ ৭০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে DVC, দক্ষিণবঙ্গে প্লাবনের আশঙ্কায় সতর্কবার্তা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এই ঘটনার (Rape) তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেনবলে জন্য গিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারসহ স্থানীয় বাসিন্দারাও দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।