বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরজিকর কাণ্ডের জেরে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। এবার সেই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় শিয়ালদা আদালত শাস্তি দিল দোষী সঞ্জয় রায়কে। আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি মিলেছে তার। এদিকে,আরজিকর কাণ্ডের সাজা ঘোষণার দিনেই দেশের আরেক প্রান্তের আদালতে (Court) এক মামলার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের খবর জানা গিয়েছে।
আদালতের (Court) রায় বিরল খুনের ঘটনায়
সূত্রের খবর, ‘পথের কাঁটা’ প্রেমিককে বিষ খাইয়ে খুন করেছিল কেরালার (Kerala) এক তরুণী। এবার সেই দোষী তরুণীকেই মৃত্যুদণ্ডের রায় দিল কেরালার এক আদালত (Court)। বিরল ঘটনার কারণেই এই সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, ভালোবাসার মানুষকে ঠকনো এবং খুন সমাজের জন্যে অত্যন্ত খারাপ বার্তা।
জানা গিয়েছে, গুগল সার্চ করে খুনের প্ল্যান করেছিলেন দোষী। তিরুঅনন্তপুরমের পরসালার বাসিন্দা শ্যারন রাজকে প্রথমে ওষুধ মেশানো পানীয় খাওয়ান তার তৎকালীন প্রেমিকা গ্রীষ্মা। কিন্তু তারপরেও শ্যারনের মৃত্যু না ঘটায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বাড়িতে ডেকে কীটনাশক মেশানো পানীয় খাওয়ান গ্রীষ্মা। পরে অবশ্য গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শ্যারনকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও লাভ হয়নি।
আরোও পড়ুন : ‘ওই টাকা চাই না’! সঞ্জয়ের ফাঁসি না হওয়ায় CBI তদন্ত নিয়ে কী বললেন নির্যাতিতার বাবা-মা?
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কি কারণে শ্যারনকে হত্যা (Murder) করলেন তারই প্রেমিকা গ্রীষ্মা? তদন্তে উঠে আসে যে, ২০২১ সাল থেকে গ্রীষ্মা ও শ্যারনের সম্পর্ক থাকলেও ২০২২ সালে এক সেনা আধিকারিকের জন্যে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। গ্রীষ্মার পরিবার এই সেনা আধিকারিকের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে। শ্যারনের থেকে কিভাবে মুক্তি মিলবে সেটা বুঝতে না পারায় তাকেই খুন করার ফন্দি আঁটে গ্রীষ্মা।
শ্যারনকে হত্যার অভিযোগে গ্রীষ্মার পাশাপাশি তার কাকাও পুলিশের জালে ধরা পড়ে। সোমবার সাজা দেওয়ার সময় বিচারক এই খুনের প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে, এই ঘটনা হচ্ছে বিরলের মধ্যে বিরলতম। গ্রীষ্মাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি বিচারক তার কাকা নির্মূল কুমারকে শাস্তি স্বরূপ তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।