বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের ধনী শিল্পপতিদের তালিকায় রতন টাটা (ratan tata) একেবারে প্রথম সারিতেই রয়েছে। কোটি কোটি টাকার ধনকুবের রতন টাটার জীবনেও নানা উত্থান পতন ছিল। এমনকি তাঁর জীবনের অসম্পূর্ণ ভালোবাসার কাহিনীও আমরা শুনেছি। তবে জীবনে যতই ঝড় ঝাপ্টা আসুক না কেন, জীবনে কখনও হার মেননি এই মানুষটি।
খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে গেলেও এই মানুষটি সর্বদা মাটির কাছাকাছি থাকতেই পছন্দ করেন। অত্যন্ত দয়ালু হৃদয়ের এই ব্যক্তির মহানুবতাকে অনেকেই নিজের আইডল বলে মনে করেন। তবে এই মহান ব্যক্তির গুরু কে, তা জানার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।
রতন টাটার মতো একজন মহান ব্যক্তির গুরুকে তার থেকেও বড় ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের অনেক অবদান রেখেছেন রতন টাটা। এই মহান ব্যক্তির গুরু ছিলেন জে আর ডি টাটা, যিনি নিজে ভরতরত্ন পেয়েছিলেন।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে উন্নয়নের জন্য তিনি বিভিন্ন অবদান রেখেছেন। ভারতের প্রথম ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন এই মানুষটিই। বৈজ্ঞানিক ডক্টর এইচজে ভাবার সঙ্গে মিলিতভাবে নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টার খুলেছিলেন।
পিতা মাতা ফ্রান্সের বাসিন্দা এবং তাঁর শৈশব ফ্রান্সে কাটলেও, পরবর্তীতে ভারতে ফিরে আসেন জে আর ডি টাটা। বড় হয়ে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে বিহারের জামশেদপুরে কারখানায় কাজ শুরু করেন। নিজের বাবার কোম্পানি হলেও, সেখানে একজন সাধারণ কর্মচারীর মত করেই কাজ করতেন তিনি, পেতেন না কোন ঘর। এমনকি দেওয়া হত না বেতনও। ছোট থেকেই সঠিক শিক্ষা নিয়ে জীবনের চলার পথে বর্তমানে তিনি একজন আদর্শ মানুষ হয়ে উঠেছেন। এখন তাঁর অনুগামী হয়েছেন বহু মানুষ।
শ্রমিকদের জন্য তিনিই প্রথমবার ৮ ঘণ্টা কাজের নিয়ম চালু করেছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই দেশে প্রথমবার প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু হয়। তাঁর মতন ব্যক্তিত্ব ইতিহাসে খুবই কম দেখা যায়।