Ratan Tata ভারতের বিজনেস টাইকুন। ভারতের প্রথম শ্রেণীর ব্যাবসায়ী হয়েও তিনি যে কতখানি মাটির মানুষ তা ফের একবার প্রমাণ করলেন রতন টাটা। প্রাক্তন কর্মচারীর অসুস্থতার খবর পেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই পুনেতে (pune) তার বাড়ি ছুটে গেলেন তিনি।
বলা হয়, ভারতে যদি ব্যাবসা করতে হয় তাহলে অম্বানির সাথে করো আর যদি চাকরি করতে হয় তবে টাটা কোম্পানিতে করো। টাটাদের কর্মচারীদের প্রতি স্নেহ নতুন নয়। টাটা কোম্পানিতে কর্মরত প্রত্যেকেই অন্যান্য কোম্পানিদের তুলনায় বেশিই সুযোগ ও সম্মান পেয়ে থাকেন মালিকপক্ষের তরফে। এবার linkdin এ কর্মচারীর অসুস্থতার খবরে তাকে দেখতে গেলেন রতন টাটা।
লিংকডিনে ঐ কর্মচারী জানিয়েছিলেন তিনি গত দুই বছর ধরে অসুস্থ। সেই পোস্টটি নজরে আসে রতন টাটার। তিনি ছুটে যান সেখানে। দরজা খুলে রতন টাটাকে বাড়ির বাইরে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে থ হয়ে যান ঐ কর্মচারী। রতন টাটা তাঁর শরীরের খোঁজ খবর নেন। তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দেন। তারপর অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেন নি তিনি। কাজ মিটিয়ে কুশল বিনিময় করে চলে আসেন তিনি।
অকৃতদার মানুষটি ব্যক্তিগত জীবনে যে কত মাটির কাছাকাছি তা তার সামাজিক মাধ্যম থেকেই জানা যায়। সম্প্রতি রতন টাটা নিজের মাটিতে বসা হাসিমুখের একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, তিনি এখনই দেখলেন, তার পেজে বহু মানুষ তাকে পছন্দ করেছেন৷ যখন তিনি ইনস্টাগ্রামে জয়েন করেছিলাম, তখন এই দারুণ অনলাইন পরিবার এত বড় হবে আশা করেন নি৷ ইন্সটাগ্রাম কমিউনিটির অংশ হতে পেরে ও শেখার সুযোগ পেয়ে অসংখ্য ধন্যবাদ৷
এই পোস্টের পরেই এক জনৈকা মহিলা রতন টাটাকে ইনস্টাগ্রামে আদর করে ছটু বলে বসলেন নিছক মজা করেই ‘ছটু’ বলে বসেন। তিনি লেখেন, ‘অভিনন্দন ছটু ‘। তাঁর এই মন্তব্যকে গ্রহন করতে পারেনি নেটিজেনরা। শুরু হয়ে যায় ট্রোলিং। কিন্তু রতন টাটা এই ব্যাপারটিকে নেন সহজ ভাবেই। তিনি নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে লেখেন,’আমাদের প্রত্যেকের মনের মধ্যেই একটি শিশু রয়েছে৷ তাই ওই যুবতীকে শ্রদ্ধার সঙ্গে ট্রিট করুন৷’ বলা বাহুল্য, এই নম্রতা ও ভদ্রতাই রতন টাটার আসল সম্পদ।