বাংলা হান্ট ডেস্ক: চিরনিদ্রার দেশে পাড়ি দিয়েছেন শিল্পপতি রতন টাটা (Ratan Tata)। টাটার প্রয়াণে শোকাতুর গোটা দেশ। তবে তিনি চলে যাওয়ার পর থেকেই যেন নানা রকমের তথ্য সকলের হাতে উঠে আসছে। এখন মনে হচ্ছে, রতনবাবুকে যতটুকু চেনা হয়েছিল তা নিমিত্ত মাত্র। এই ব্যক্তির মহৎ হৃদয়ের কথা সকলেই জানেন। কিন্তু তাই বলে কেউ এতটাও মহান হতে পারেন এটা সত্যিই ভাবা যায় না। নিজের সম্পত্তির ভাগ রেখে গেছেন বন্ধু শান্তনু নাইডুর নামে। এখন প্রশ্ন এতে ঠিক কি কি অংশীদারিত্ব রয়েছে শান্তনু নাইডুর নামে? দেখুন আজকের প্রতিবেদনে।
শান্তনু নাইডু এবং রতন টাটার (Ratan Tata) বন্ধুত্ব:
আপনারা সকলেই জানেন, রতন টাটার (Ratan Tata) পশুদের প্রতি ঠিক কতটা ভালোবাসা। আর শান্তনু নাইডুও ঠিক তেমন প্রকৃতির মানুষ। পশুদের সেবা করা থেকেই দুজনের বন্ধুত্ব শুরু। পথ চলতি পশুদের নিরাশ্রয়, ক্ষুধাযন্ত্রণাই আজ দুজনকে কাছে আনে। এমনকি, ছোট বন্ধুর পশুদের প্রতি এমন ভালোবাসা এবং পশুদেরকে সাহায্য করার উদ্যোগ দেখে রতন টাটা কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। আর সেই যে শুরু তাদের বন্ধুত্ব, রতন টাটার শেষ জীবন অব্দি তা থেকে গিয়েছে। দুজনের বন্ধুত্ব প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। যদিও শান্তনুর তুলনায় রতন বাবু বয়সে অনেকটাই বড়। তবে বন্ধুত্বের কোন ছেদ পড়েনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিভাবে কি পোস্ট করতে হয়? কি না করতে হয় সমস্ত কিছু শিখিয়েছেন এই শান্তনুই। এমনকি কোন ইমোজির মানে কি, কখন কি ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে কিভাবে কি পোস্ট করতে হয় এই সমস্ত কিছুতে পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন রতন টাটা (Ratan Tata) তাঁর বন্ধুর জন্য। জানা যায়, রতন বাবুর একাকিত্ব জীবনে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক ফালি আলোর টুকরো। শান্তনুই ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী।
আরও পড়ুন: ফের পরাজয়! দ্বিতীয় টেস্টে এই ৩ খেলোয়াড়ের জন্য হেরেছে ভারত, হতাশ অনুরাগীরা
আর সেই বন্ধুকে তাঁর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেন কিভাবে? শান্তনু নাইডুর সংস্থায় এতদিন যে অংশীদারিত্ব ছিল রতন টাটার (Ratan Tata), তা তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শান্তনুর বিদেশে পড়ার স্বপ্নও পূরণ করেছেন আমাদের শিল্পপতি। আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা সম্পন্ন করেন এই ছোট্ট বন্ধু। তবে এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তো আর চাট্টিখানি বিষয় নয়। তাই তাকে নিতে হয়েছিল কিছু টাকার ঋণ। যে ঋণের বোঝা শোধ করে দিয়ে গেছেন রতন টাটা। জানিয়ে রাখা ভালো, শান্তনুর নতুন সংস্থার উদ্বোধনের দিন অসুস্থ শরীরেও তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিঙ্গেলদের জন্য সেরা ঠিকানা! এই মেলাতে এলেই খুঁজে পাওয়া যায় জীবনসঙ্গী, ভিড় জমান বহু মানুষ
বর্তমান যুগে এমন নিখাদ বন্ধুত্ব দেখা যায় না বললেই চলে। এই স্বার্থের যুগের নিঃস্বার্থভাবে বন্ধুর জন্য যদি কেউ কিছু করতে পারেন একমাত্র আমাদের শিল্পপতি রতন টাটা (Ratan Tata)। যদিও শান্তনু কখনো তার বন্ধুকে একা ছাড়েননি। বিদেশে গেলেও বন্ধুর খবর নিতে তিনি ভোলেননি। এমনকি শেষদিনেও তিনি বন্ধুর হাত ছাড়েননি। শিল্পপতি রতন টাটা চলে যাওয়ার পর শান্তনু কতটা একা হয়ে পড়েছেন তা সমাজমাধ্যমে ধরা পড়ে।