বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ফের সক্রিয় ইডি। সোমবার সকালে একজোটে শহরের চার জায়গায় ইডি (Enforcement Directorates) হানা। সন্দেশখালি ঘটনার চারদিন পর ফের রেশন দুর্নীতি মামলার ইডির তৎপরতা। সূত্রের খবর এদিন সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যর (Bangaon Municipality former chairman Shankar Adhya) হিসাব রক্ষকের (CA) অফিসে পৌঁছে গিয়েছে ইডি। প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলছে তল্লাশি।
সূত্রের খবর আরভিন্দ সিং শঙ্কর আঢ্যর সিএ, তার অফিসেই চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে তদন্তে নেমে এই আরভিন্দ সিং এর নাম উঠে আসে। তারপরই অ্যাকশনে ইডি। কিভাবে বিদেশী মুদ্রার বিনিময় হত, কোনো সেল কোম্পানি অর্থাৎ ভুয়ো সংস্থা ছিল কি না, বিদেশী মুদ্রা লেনদেনের ব্যবসার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা হয়েছে কিনা সেই তথ্য খুঁজতেই এদিন শঙ্কর আঢ্যর হিসাব রক্ষকের অফিসে ইডির তল্লাশি অভিযান।
ওদিকে ধর্মতলার চৌরঙ্গি শঙ্কর আঢ্যর অফিসেও হানা দিয়েছে ইডি। সঙ্গে বিশাল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রয়েছেন। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই শঙ্করবাবুর এই অফিস সিল করে দিয়ে গিয়েছিল ইডি। এদিন সেই সিল করা অফিস খুলেই তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। কিভাবে বিদেশী মুদ্রার বিনিময় হত এই বিষয়ে তথ্য জানতেই হানা বলে মনে করা হচ্ছে।
শঙ্কর আঢ্যর সংস্থা ‘আঢ্য ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের’ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার হদিস পেয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অর্থাৎ FEMA আইন অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রা কনভার্ট করলে, পাসপোর্টের তথ্য বা ভ্রমণকারীর তথ্য জমা করতে হয়। তবে শঙ্কর আঢ্য আইন ভঙ্গ করে এই সব কোনও কিছুর উল্লেখ না করেই বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ইতিমধ্যেই ‘FEMA’ আইনে শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ইডি।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে মিথ্যা হলফনামা দিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব! ক্ষুব্ধ হয়ে কড়া অ্যাকশন বিচারপতির
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) তথা বালুকে গ্রেফতার করে ইডি। আর মন্ত্রীর সূত্র ধরেই সম্প্রতি ইডির জালে জড়িয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ শঙ্কর আঢ্য।