বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam Case) গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। ইডি হেফাজতে কড়া জেরায় দিন কাটছে জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুর। রাজ্যের প্রভাবশালী এই মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। ইডি তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত, রাজ্যের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডির হাতে এসেছে। এছাড়াও জ্যোতিপ্রিয়র প্রচুর বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও রয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। এবার ইডির নজরে সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা (Accounts Holder)। বেনামি অ্যাকাউন্টগুলি যাদের নামে রয়েছে এবার একে একে তাদের তালিকা তৈরী করছে ইডি। তারপরই হবে তলব।
ইডি সূত্রে খবর এই বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গুলির মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ওদিকে জানা যাচ্ছে ইডির টানা জেরায় বালু জানিয়েছে তিনি কোনও কিছুই জানেন না। সবটাই তার আপ্তসহায়ক জানেন। সেই সূত্রেই এবার মল্লিকবাবুর আপ্ত সহায়ক শান্তনু ভট্টাচাৰ্য ও কনফিডেন্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অভিজিৎ দে -কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে চায় ইডি।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির আবহেই সুখবর! কেন্দ্রের ‘এই’ সিদ্ধান্তে আনন্দে আত্মহারা রাজ্য
পাশাপাশি ইডির কাছে বয়ানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক ও মেয়ে প্রিয়দর্শীনি মল্লিকও জানান, কোম্পানির নথি ও কোম্পানির সম্পত্তির নথিতে অভিজিত দের কথাতেই তারা সই করতেন। অর্থাৎ গোটা মল্লিক পরিবারই দায় ঠেলেছে কনফিডেন্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অভিজিৎ দে-র দিকে। তাই এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিজিৎবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বয়ান রেকর্ড করতে চাইছে ইডি।
জানিয়ে রাখি, গ্রেফতারির পর সোমবার রাতে ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। আপাতত মন্ত্রী স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও বিভিন্ন রোগে জর্জরিত তিনি। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, সুগারের সমস্যাও রয়েছে তার। একথা মাথায় রেখে নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবারও তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কমান্ড হাসপাতালে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে মন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।