বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত অক্টোবর থেকে রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। গতকাল সেই রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বনমন্ত্রীর দফতরে (West Bengal Forest Department Office) হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। আর অরণ্যভবনে হানা দিয়েই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) আরও ১০ কোটির বিমার হদিশ পেয়েছে তদন্তকারীরা। মিলেছে বেশ কিছু নথিও।
মঙ্গলবার দুপুরে বন দফতরের অফিসে হানা দেয় ইডি -এর আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, রেশন মামলার তদন্তে এই প্রথম কোনও মন্ত্রীর দফতরে হানা দেয় ED. সেখানে পৌঁছে সোজা চলে যান নতলায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘরে। চলে টানা তল্লাশি। ইডির দাবি, মন্ত্রীত্ব বদল হলেও বন্ধ হয়নি দুর্নীতি। ২০২১ পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। পরে বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। তবে তদন্তকারী সংস্থার অনুমান বনমন্ত্রী হওয়ার পর অরণ্যভবনে বসে দেদারে দুর্নীতি চালিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার দীর্ঘ তল্লাশি চলে অরণ্যভবনে। তারপরই রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চেম্বার থেকে ১০ কোটি টাকার বীমার হদিস পায় ইডি। উদ্ধার হয়েছে একাধিক নথিপত্র। নামে ও বেনামে একাধিক সম্পত্তির নথি মিলেছে। ইডির অনুমান সম্পত্তি গুলি অন্যদের নামে কেনা হলেও সেগুলির মালিক আসলে জ্যোতিপ্ৰিয়। উদ্ধার হয়েছে ৬০০ টি স্ট্যাম্প।
আরও পড়ুন: সাময়িক সাসপেন্ড হওয়ার পর কী কী সুবিধা হাতছাড়া হল বিরোধী সাংসদদের? জারি সার্কুলার
বর্তমানে অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্ৰিয়। এরই মধ্যে দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে কোমর বেঁধে ময়দানে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসে রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের হাতে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গোয়েন্দাদের অনুমান কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। অন্যদিকে সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা করেছে ইডি। তাতে বিস্ফোরক সব অভিযোগ সামনে এসেছে।
খাদ্য দফতরের মন্ত্রী বদল হলেও দেদারে চলেছে দুর্নীতি এমনটাই চার্জশিটে দাবি ইডির। বন দফতরে থেকেও খাদ্য দফতরের চাবি বলুর কাছেই ছিল কিনা সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। রেশন দুর্নীতি মামলায় কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ১৬২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়, বাকিবুর ছাড়াও নাম রয়েছে এই দুজনার নামে থাকা ১০টি ভুয়ো সংস্থার নাম। ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে।