বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam Case) ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সূত্র ধরে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির পর থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে চলেছেন মন্ত্রীমশাই। গত শুক্রবারই বিস্ফোরক দাবি করে জ্যোতিপ্রিয় জানায়, “বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে। মমতাদি সব জানে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক।”
দুদিনের মধ্যে সব প্রকাশ্যে আসবে দুদিনের মধ্যে। ইডি হেফাজতেও নিজেকে মুক্ত বলে দাবি করেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ৬ তারিখের মধ্যে সব প্রমাণ করে দেব বলে উচ্চস্বরে চিৎকার করেন মন্ত্রী। তবে আজ ৬ তারিখ মন্ত্রীকে আদালতে পেশ করলে প্রমাণ তো দূর, উল্টে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিনের আবেদনই করলেন না তার আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পর গত ২৭ অক্টোবরও জামিনের আবেদন করেননি মন্ত্রীমশাই। আর এদিনও তাই। এদিকে এদিন রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জ্যোতিপ্ৰিয় আরও ৭ দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় ইডি। সোমবার বালুকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: সাঁড়াশি চাপে সুজয়কৃষ্ণ! কড়া ডোজ ED-র, এবার কোথায় যাবেন কালীঘাটের কাকু?
তবে এদিন জামিনের আবেদন না করলেও মন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে আদালতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তার আইনজীবীরা। এদিকে জ্যোতিপ্রিয় নিজে উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, তার জন্য কম্যান্ড হাসপাতালকে যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা করা হয়নি।
মন্ত্রীর অভিযোগের পাল্টা ইডি আদালতে জানায় মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়েছে। ইডির আইনজীবী তরফে আদালতে বালুর স্বাস্থ্যের একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ইডির আইনজীবী জানান, জ্যোতিপ্রিয়কে ১০ দিনের হেফাজতে দিয়েছিল আদালত। তবে তার মধ্যে ৭ দিন মন্ত্রী হাসপাতালেই ছিলেন। ফলে গোয়েন্দারা মাত্র ৭ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পেয়েছেন।
এরপরই ইডি তরফে তাকে আরও ৭ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি বহু নতুন তথ্য তাদের হাতে এসেছে বলেও দাবি করে ইডি। সব শুনে আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।