বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) আচমকাই তৎপর কলকাতা পুলিশ। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কত অভিযোগ জমা পড়েছে? সেই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কোন কোন ধারায় মামলা করা হয়েছে? কলকাতা পুলিশের সকল (Kolkata Police) ডেপুটি কমিশনারদের কাছে সমস্ত তথ্য জানতে চাইল লালবাজার (Lal Bazar)। শুক্রবারই সব তথ্য জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার এই মামলায় তৎপর হয়ে উঠল কলকাতা পুলিশ। রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Distribution Scam) কলকাতা পুলিশের অধীন নানান থানা এলাকায় কত অভিযোগ জমা পড়েছে? তার ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে? সেই মামলাগুলির বর্তমান স্ট্যাটাস কী? এই বিষয়ে লালবাজার তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে বলে খবর।
আজ বিকেলের মধ্যেই রেশন দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত সকল তথ্য জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই রকম ভাবে এই মামলায় রাজ্য পুলিশের কাছে জেলাগুলির সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে কিনা অথবা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী বন্ড থেকে ১৬১০ কোটি লক্ষী লাভ করে দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল! ফার্স্ট কোন দল?
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তভার রয়েছে ইডির হাতে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ দাসকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই মামলায় কলকাতা পুলিশের তৎপরতা দেখে তাই কিছুটা অবাক হয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য যেমন এর পিছনে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’ থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, ‘সৎ উদ্দেশে নিশ্চয়ই পুলিশের এই তৎপরতা নয়। ইডি কোনও কিছু লিড পাওয়ার আগেই ঘোঁট পাকাতে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ। এরপর তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলবে আমরা তো তদন্ত করছি’। এখানেই না থেমে আইনজীবী বিকাশরঞ্জনবাবু বলেন, রাজ্যের শাসক দলের কথা মতোই পুলিশের এই আচমকা তৎপরতা! নাহলে ইডির তদন্তের মাঝেই এমন তৎপর কেন হয়ে উঠলেন?