বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও, তাঁদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আজ আর নেই। বহুদিন আগেই বদলে গিয়েছে ঠিকানা। কিন্তু ‘মেয়রের চেয়ারটা দেখে, শোভনবাবুর জন্য খারাপ লাগল’, বলে আজকের দিনেও জানালেন কাউন্সিলর রত্না চট্টোপাধ্যায় (ratna chatterjee)।
সম্প্রতি কলকাতা পুরভোটে বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাঁড়িয়েছিলেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেখানে বিরোধীদের হারিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। যার কারণে সোমবার বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসাবে শপথ নেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং-এ এসে তিনি জানালেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র থাকালীন। আগে বেশ কয়েকবার এই ছোট লালবাড়িতে এসেছিলাম। আমার কাছে খুবই চেনা এই পুরসভার বাড়িটা। আজ মেয়রের ঘরে গিয়েছিলাম। আর সেখানে গিয়ে মেয়রের চেয়ারটা দেখে শোভনবাবুর জন্য একটু খারাপই লাগল’।
রত্না চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘খুবই বুদ্ধিমান লোক উনি, যেটা ভালো বুঝবেন করবেন। আমি আর কি পরামর্শ দেব! এখন যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। যখন যা প্রয়োজন, তখন আমাদের নেতা ফিরহাদ হাকিমের থেকে সবই পেয়েছি। দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ ও পুরসভার চেয়ারপারসন মালা রায় রয়েছেন, প্রচুর প্রবীণ কাউন্সিলর রয়েছেন। তাঁদের থেকেই কাজ শিখে নেব। খুব একটা সমস্যা হবে না’।
রাজনীতির জগতে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবন কারোরই অজানা নয়। একদিকে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপধ্যায়- রাজনৈতিক জীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবন, শোভনবাবুর জীবনের প্রতিটি পাতাই যেন সকলের জানা।