দিদি বললে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব, শোভন-বৈশাখী প্রসঙ্গে বিস্ফোরক রত্না

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য রাজনীতিতে ঘর বদল এবং দলবদল এখন অনেকটাই চোখ সয়ে গেছে রাজ্যবাসীর। বিশেষত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক পূর্বে যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লিখেছিলেন একের পর এক হেভিওয়েট নেতা নেত্রী, তার সাথে এখন অনেকটাই পরিচিত হয়ে উঠেছে বাঙালি। তবে বিধানসভা নির্বাচন এখন শেষ। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে ফের একবার ক্ষমতা দখল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।

আর তারপরেই ফের একবার শুরু হয়েছে দলবদলের গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া অনেক নেতাই ফের একবার ফিরতে পারেন ঘাসফুল শিবিরে। শুধু তাই নয়, দলের উচ্চ পর্যায়ের অনেক নেতা নেত্রীর সঙ্গেই নাকি রীতিমতো যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।

জল্পনা অনুযায়ী শুধু বিজেপিতে থাকা নেতা নেত্রীরাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরেও। রাজ্য রাজনীতিতে বর্তমানে বেশ কিছুটা এক ঘরে হালত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার পরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন। কিন্তু তার ইচ্ছা অনুযায়ী বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে তাকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। সেই অভিমানী ফের একবার বিজেপিও পরিত্যাগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে বর্তমানে জয়ী হয়েছেন শোভনেরই প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির পায়েল সরকারকে হারিয়ে এই মুহূর্তে বাবা দুলাল চন্দ্র দাসের সঙ্গেই বিধানসভায় শপথ নিয়েছেন তিনি।

Sovan Chatterjee-Baisakhi Banerjee can return to tmc

অন্যদিকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরাকে কেন্দ্র করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হবার পর তাকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন শোভন। যদিও তা সৌজন্যের খাতিরে বলেই জানান তারা। তবে শোভন-বৈশাখী দলে ফেরার গুঞ্জনকে কেন্দ্র করে এবার মুখ খুললেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “শোভন-বৈশাখী বলেছিলেন, আমি থাকলে ওঁরা তৃণমূলে ফিরবেন না। আমি কিন্তু তৃণমূলের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। আমাকে আর দল থেকে তাড়ানো যাবে না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললে বেহালা পূর্ব ছাড়তে রাজি।”

তিনি আরও বলেন, “ওরা তৃণমূলে ফিরবেন কি ফিরবেন না, তা ওঁদের এবং দলের ব্যাপার। আমাকে তৃণমূল থেকে তাড়ানোর কোনও জায়গা থাকল না। দিদি বললে হাসতে হাসতে বেহালা পূর্ব ছেড়ে দেব, শোভন-বৈশাখী বললে সেই প্রশ্নই উঠছে না।” সব মিলিয়ে রাজনীতির ঘর বদলের সমীকরণ এখন কোন দিকে গড়ায় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর