বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: একপেশে ম্যাচে এলিমিনেটরে জিতে আসা আরসিবিকে উড়িয়ে ফাইনালের টিকিট পেলো রাজস্থান রয়্যালস। ২৯শে মে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবে তারা। জট বাটলারের চতুর্থ শতরানে ভর করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিলো সঞ্জু স্যামসনের দল।
আজ টসে জিতে আরসিবিকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান স্যামসন। নিজের পুরোনো রোগে ভুগে মাত্র ব্যক্তিগত ৭ রানের মাথায় প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে উইকেটের পেছনে খোঁচা দিয়ে ফেরেন কোহলি। ব্যর্থ হন অধিনায়ক ফ্যাফ দু প্লেসিস-ও। ২৭ টি বল খেলে মাত্র ২৫ রান করে আউট হন তিনি। আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যর্থ আরসিবির লোয়ার মিডল অর্ডার। মহিপাল লোমরোর, দীনেশ কার্তিকরা ছন্দই খুঁজে পেলেন না।
আরসিবির ব্যাটিং লাইন আপে লড়াই করলেন শুধু এলিমিনেটরের নায়ক রজত পতিদার। এই ম্যাচেও তিনিই আরসিবির ব্যাটিংকে টানলেন। ৪২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয় সহযোগে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৩ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে তাকে কিছুটা সাহায্য করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট খুইয়ে ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি আরসিবি। ৩টি করে করে উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা এবং ওবেদ ম্যাকয়।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিজেদের মনোভাব পরিষ্কার করে দেন রাজস্থান রয়্যালসের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার। প্রথম ওভার থেকেই তারা কড়া আক্রমণের রাস্তা বেছে নেন। যশস্বী ১৩ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেও বাটলার নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে থাকেন। প্রথম দশ ওভারের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচের ভবিষ্যৎ। অসাধারণ ব্যাটিং করেন বাটলার। পেস হোক বা স্পিন, দুইয়ের বিরুদ্ধেই সমানভাবে সাবলীল ছিলেন তিনি। মরশুমের চতুর্থ শতরান করেন তিনি। ৬০ বলে ৬টি ছক্কা ও ১০টি চার সহ ১০৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ১১ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ।