বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যে মা দুর্গা পাড়ি দিয়েছে কৈলাসের দিকে। তার উপর দুর্গাপুজোর ঠিক কয়েকটা দিন পরেই আসে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার রাতে ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধির জন্য দেবী লক্ষীর আরাধনা করেন ভক্তরা। এই দিন মা লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করেন অনেকেই। আর এই পুজোর একটি অপরিহার্য বিশেষ মিষ্টি হল নারকেল নাড়ু (Recipe)। তবে এই পুজোয় জেনে নিন কেন নারকেল নাড়ু দিতে হয়। নারকেল নাড়ু তৈরি করার রেসিপিও দেখে নিন।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজায় বাড়িতেই বানানো সহজ উপায়ে নারকেল নাড়ু (Recipe)
উপকরণ:
নারকেল কোরা – ২ কাপ
গুড় বা চিনি: ১কাপ
এলাচ গুঁড়ো: চা চামচ
ঘি: ১ চা চামচ
প্রণালী: প্রথমে কড়াইয়ে নারকেল শুকনো করে ভেজে নিন। যেন এর মধ্যে যেন কাঁচা গন্ধ না থাকে। এরপর অন্য করাইতে সামান্য জল দিয়ে তাতে গুড় গলিয়ে নিন। চাইলে আপনি ঘুরার পরিবর্তে চিনি ব্যবহার করতে পারেন।। তারপর গুড়ের শিরার মধ্যে নারকেল কোরাগুলো দিতে থাকুন। এরপর তাতে এলাচ গুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঘন আঠালো হয়ে আসলে তখন আজ থেকে নামিয়ে নিন। এরপর গরম থাকতেই হাতে সামান্য ঘি মেখে ছোট ছোট নাড়ু বানিয়ে নিন। নাড়ুগুলো ঠান্ডা হলে শক্ত হয়ে যাবে তখন একেবারে পরিবেশন করুন।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় অপরিহার্য কেন নারকেল নাড়ু?
নারকেল নাড়ুকে পবিত্রতা ও শুভ্রতার প্রতীক বলা হয়। তার ওপর মিষ্টি মানে ই মঙ্গল ও আনন্দ। তাই কোজাগরির রাতে দেবীকে নারকেল নাড়ু নিবেদন করা হয়। মনে করা হয় যার সংসারে সমৃদ্ধি ও মাধুর্যের প্রতীক। আর লক্ষ্মী পূজার থালায় ফলমূলের পাশাপাশি এই নারু না থাকলে পূজোর আবহাওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এছাড়াও কথিত আছে, কোজাগরী লক্ষী পুজোর সময় মায়ের কাছে অর্ঘে নারকেল নাড়ু থাকে। তখন বিশ্বাস করা হয় এটি সংসারের ধন-সম্পত্তি শান্তি ও মিষ্টি সম্পর্ককে বজায় রাখে। তাই এই পূর্ণিমার রাতে নারকেল নাড়ু কেবল মিষ্টির স্বাদ নয়, বাঙালির বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক বয়ে নিয়ে আসে (Recipe)।