বাংলা হান্ট ডেস্ক: দুর্গাপুজো শেষ করে পার হয়েছে লক্ষ্মীপুজো। এই পুজার মরশুমে প্রতিটা দিন বাইরে খেয়ে পেটের অবস্থা কিছুটা হলেও কাহিল হয়েছে। তার ওপর আবার কয়েকটা দিন পেরোলেই সামনে আসতে কালীপুজোর,দীপাবলি ও ভাইফোঁটা। আর এইসব উৎসবের মাঝে যে কটা দিন পাওয়া যাচ্ছে সে কটা দিনের মধ্যে আবার নিজেকে সুস্থ সবল করে নিতে চান। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজনকে আবার হাতের মুঠোয় আনতে চান। তাহলে এই কয়দিন সকালবেলায় জলখাবারে রাখুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার। যা আপনি খুব সহজেই অল্প উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারবেন। রইল সেই সকল জলখাবারের রেসিপি গুলো (Recipe)।
ফিট থাকতে চাইলে মেনুতে আনুন হেলদি টুইস্ট, জলখাবারে রাখুন এই পদ গুলো (Recipe)
১) মুগ ডালের চিলা: সকালবেলায় জলখাবারে খেতে পারেন মুগ ডালে ছিল। কারণ সকাল বেলা কম র্কাব ও হাই প্রোটিন খাবার খাওয়া একান্তই প্রয়োজন। তাই আপনি মুগ ডালের চিলা বানিয়ে খেতে পারেন। পাশাপাশি এরমধ্যে আপনি পনিরের মিশ্রণ দিয়ে এই পদটি (Recipe) বানাতে পারেন।
আরও পড়ুন: পেট ফেঁপে যাচ্ছে! সকালের স্মুদিতে যোগ করুন এই ফল, পুষ্টিবিদদের মতামত
২) ডালিয়া: সকালবেলার জলখাবারে খেতে পারেন ডালিয়া। এছাড়াও এটি পেট অনেকক্ষণ ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডালিয়া খুব কম সময়ে তৈরি হয়ে যায়।
৩) ইডলি-সম্বর: দক্ষিণ ভারতের একটি জনপ্রিয় পদ ইডলি সম্বর। তবে এখন পশ্চিমবঙ্গেও সকালের জলখাবারে অনেকেই এই পদটি রাখে। পুষ্টিবিদদের মতে হজম শক্তি ও অন্ত্রেরে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। যা পরোক্ষভাবে ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) বেসনের চিলা: সহজ প্রোটিনে ভরপুর খাবার হল বেসনের চিলা। খুব অল্প সময়ে সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন এটি। এছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে পাশাপাশি থাকে ফাইবার। তাছাড়া যাদের ব্লাড সুগার আছে তারা প্রতিদিন জলখাবারে বেসনের চিলা খেতে পারেন।
৫) পোহা: পোয়া যদি সঠিকভাবে বানানো যায় তাহলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নেমে আসে একেবারে তলানিতে। পাশাপাশি এর মধ্যে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে। এবং আপনি পোহা তৈরি করার সময় তার মধ্যে নানা ধরনের সবজি মেশাতে পারেন। এবং শেষে লেবুর রস চিপে দিলে তাতে ভিটামিন সি এর ঘাটতি থাকে না (Recipe)।