বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্ষাকালে নানান ধরনের ভাজাপোড়া খেতে ভালোই লাগে। আর ভাজাপোড়া মানেই একটা মুচমুচে ব্যাপার থাকে। সেখানে যদি ঢেঁড়স বা কুমড়ো ভাজা হয় তাহলে এই মুচমুচে ব্যাপারটা ঠিক মেলেনা (Recipe)। আর মিলবেই বা কিভাবে! ঢেঁড়সের ভেতরে থাকে এক ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ। যার ফলে রান্না করার সময় সেই পিচ্ছিল ভাবটা চলে আসে। মুচমুচে তো দূরের কথা, অধিকাংশ সময় ঢেঁড়স ভাজায় ন্যাতানো ভাবটাই থাকে। তবে এই ঢেঁড়স ভাজা হবে কুড়মুড়ে। আজ সেই রেসিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
অল্প উপকরনের বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন কুড়মুড়ে ঢেঁড়স (Recipe)
ঢেঁড়স (Bhindi) মূলত শরীরের পক্ষে উপকারী। কিন্তু এতে পিচ্ছিল ভাব থাকার জন্য অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু ঢেঁড়স ভাজা খেতে অনেকে ভালোবাসেন। তবে ঢেঁড়স ভাজা হলেও তা সহজেই নেতিয়ে যায়। অবশ্য ঢেঁড়স কে মুচমুচে বানানোর জন্য কিছু টোটকা মেনে চলা দরকার। আজ কুড়মুড়ে ঢেঁড়স (Crispy Bhindi) বানানো কিছু টোটকা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হলো।
উপকরন:
ঢেঁড়স: ১০-১২ টি লম্বালম্বিভাবে চার ভাগে কাটা
বেসন: ২ টেবিল চামচ
চাট মশলা: ২ চা চামচ
আমচুর: আধ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
গুঁড়ো লঙ্কা: ১ চিমটে
হলুদ গুঁড়ো: ১/৪ চা চামচ
লেবুর রস: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদমতো
তেল: ভাজার জন্য
প্রনালী: প্রথমে ঢেঁড়স কাটার আগে সেগুলোকে ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর জল পুরোপুরি শুকিয়ে নিতে হবে। এবার একটি পাত্রে ঢেঁড়স গুলোকে লম্বা লম্বা করে কেটে নিতে হবে। তারপর তেল ছাড়া বাকি সমস্ত উপকরণ ১ টেবিল চামচ জল দিয়ে একসঙ্গে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর, কড়াইয়ে তেল গরম করুন। এবার চিরে নেওয়া ঢেঁড়সের টুকরো গুলো মিশ্রণে মাখিয়েই তেলে দিন। মনে রাখবেন একসঙ্গে সব ঢেঁড়স দিয়ে দেবেন না। অল্প অল্প করে দিয়ে ভাজুন। যতক্ষণ না সব দিক থেকে সোনালি বাদামী রঙ ধরেছে। এবার কয়েকটি ন্যাপকিনের উপর ভাজা ঢেঁড়স গুলো তুলে রাখুন। তারপর উপরে সামান্য চাট মশলা দিয়ে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন কুরকুরে ঢেঁড়স। এই ঢেরস ভাজার সময় কয়েকটি কথা মাথায় রাখবেন: ব্যাটারে ডোবানোর আগেও চিরে নেওয়া ঢেঁড়সের টুকরোগুলো ন্যাপকিনে রেখে দিন। ঢেঁড়স ব্যাটারে মেশানোর সঙ্গে সঙ্গেই ভাজতে হবে, নাহলে ঢেঁড়স থেকে জল কেটে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মুচমুচে হওয়ার বদলে নেতিয়ে যাবে। তাই ঢেঁড়স ভাজার ১৫-২০মিনিটের মধ্যেই পরিবেশন করুন।